কলকাতা: মাদেবী দুর্গা মর্ত্যের বাপের বাড়ি ছেড়ে চললেন কৈলাশে নিজের বাড়ি। আবার এক বছরের প্রতীক্ষা।
বুধবার দশমীর দিন কলকাতার বিভিন্ন মন্ডপে সকাল থেকে শুরু হয় দেবীকে বিদায় বরণ। হিন্দু সধবা নারীরা মায়ের কপালে সিঁদুর পরিয়ে এই বরণে কাজ সম্পন্ন করেন।
কলকাতার কালিঘাটে মা কালীর মন্দিরে এই উপলক্ষে ব্যাপক ভিড় হয়েছে। মন্দিরের সামনে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কলকাতা পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসন প্রতীমা নিরঞ্জনে ব্যবস্থা সেরেছেন। গঙ্গার বিভিন্নঘাটে ওয়াচ টাওয়ার নির্মান করা হয়। বিসর্জন চলাকালীন থাকবে নাশকতা ও দুর্ঘটনা এড়াতে সর্বক্ষণের নজরদারী। অতিরিক্ত পুলিশসহ ৠাপিড অ্যাকশান বাহিনীকে প্রতিটি ঘাটে মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রতীমার কাঠামো গঙ্গায় বিসর্জনের সাথে সাথে তা তুলে ফেলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে নদী দুষণের আশঙ্কায়। পুজোর উপাচার, ফুল সরাসরি গঙ্গার জলে ফেলা যাবে না। তা ফেলার জন্য প্রতিটি ঘাটের পাশে ভ্যাট তৈরী করা হয়েছে।
নদীতে সর্বক্ষণ থাকবে বির্পযয় মোকাবিলা টিম ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা স্পিডবোট নিয়ে। বিসর্জনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এদিন সকালে কলকাতার ঘাট ঘুরে দেখেন পৌরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিষ কুমার।
এদিন তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ। আজ এদিন অধিকাংশ বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হবে। সার্বজনীনও হবে।
বৃহস্পতিবার বারবেলা বলে বিসর্জন হবে না। শুক্রবার বাকি প্রতীমা বিসর্জন হবে। শনিবার ঈদের কারণে বিসর্জন হবে না। রোববারের মধ্যে সব প্রতিমা বিসর্জন দিতেই হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১২
আরডি/