কলকাতা: প্রবাদপ্রতিম শিল্পী, যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর৷
সোমবার ভোরে কলকাতার বরানগরে নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়। বীরেন্দ্র নারায়ণ পাল তার প্রকৃত নাম ৷ কিন্তু তিনি শান্তিগোপাল নামেই পশ্চিবঙ্গের যাত্রা জগতে পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
তার পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন৷ সম্প্রতি বেলঘরিয়ায় এক বেসরকারি হাসপাতালে কিছুদিন ভর্তিও ছিলেন৷
শান্তিগোপালের যাত্রা জীবনের শুরু কলকাতার বিখ্যাত নট্ট কোম্পানিতে। এরপর গড়ে তোলেন নিজের দল ‘তরুণ অপেরা’। যাত্রা জগতের এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী ‘লেনিন’, ‘হিটলার’, ‘আমি সুভাষ বলছি’-র মতো যাত্রায় অভিনয় করেছেন৷
বাংলার যাত্রা ছিল মূলত পুরাণের গল্প নির্ভর। শান্তিগোপালের হাত ধরেই যাত্রাতে উঠে আসে সময়সাময়িক দেশ-কাল-সমাজ। শুরু হয় সামাজিক যাত্রাপালার এক নতুন অধ্যায়।
‘লেনিন’ পালায় তার অভিনয় দেখে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া থেকে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার যাত্রাপালা সাড়া জাগিয়েছিল সত্তরের দশকে।
শান্তিগোপালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কলকাতার সাংস্কৃতিক জগতে৷ সকাল থেকেই তার বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন যাত্রা অনুরাগীরা৷
যাত্রাসম্রাটকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মরদেহ রাখা হয় কলকাতার রবীন্দ্রসদনে৷ আজই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে৷
এ ব্যাপারে বরানগর পৌরসভার তরফে নেয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ৷
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর