কলকাতা: বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ইন্টারপোলের রেডকর্নার প্রাপ্ত আসামি সুব্রত বাইন বৃহস্পতিবার রাতে নেপালের জেলে ৭৭ ফুট লম্বা সুড়ঙ্গ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে বলে জানা গেছে।
নেপাল পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, শুধু সুব্রত নন, এই সুড়ঙ্গ খুঁড়তে তাকে সাহায্যকারী আরও ১১ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এদিন পালিয়ে গেছে।
সুত্রটি আরও জানায়, আলি আশরফ আনসারি ওরফে সুব্রত বাইন ওই ১১ জন বন্দি ভারতের সুভাষ যাদব, সরফরাজ আলম, জাকির মিঞা, দীনেশ যাদব(বামবাম), ধীরেন্দ্র যাদব ও নেপালের রবীন যাদব, বিনায়ক যাদব, রমেশ সদা, মমতাজ আলম, ফারুক মিঞা ও দিনেশ ঝাকে নিয়ে জেলে ভেঙে পালানোর পরিকল্পনা করে। এরা জেলের ভিতরে আসবাবপত্র ও টুপি তৈরির কাজ করতো।
গত কয়েক মাস ধরেই এরা কাজের অবসরে ও রাতে সুড়ঙ্গ তৈরি করছিল। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার জন্য ব্যবহার করা যন্ত্রপাতি একটা টেবিলের ভিতরে লুকিয়ে রাখত। আর ওই টেবিলটাকে সুড়ঙ্গের মুখে বসানো হয়েছিল যাতে বাইরে থেকে দেখা না যায়। সুড়ঙ্গে একটি মুখ ছিল জেলের ভিতরে বাশেঁর আসবার কারখানায় আর অন্য মুখটা ছিল জেলের বাইরে ধানক্ষেতে। বাশ কাটার ছুরি দিয়ে ২০ ইঞ্চি চওড়া ও ২২ ইঞ্চি উচ্চতার সুড়ঙ্গটি কাটা হয় খুব দক্ষতার সাথে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১২
আরডি/এনএস