কলকাতা: কলকাতার পুলিশের হাতে আটক ইন্টারপোলের রেড কর্ণার নোটিশপ্রাপ্ত বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী আসামী সুব্রত বাইনের সাথে উপমহাদেশের মাওবাদীদের যোগাযোগের তথ্য এখন পুলিশের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা বউবাজারের একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্যাক্স ফোর্স(এসটিএফ)।
কলকাতায় তাকে যে গ্রেফতার করেছিলেন সেই এসটিএফ কর্মকর্তা শান্তনু চক্রবর্তী ৮ বছর বাদে এবারও তাকে গ্রেফতার করেন।
নেপালের জেল ভেঙে যে ১৩ জনসহ সুব্রত পালিয়েছিলেন এদের মধ্যে ৬ জন ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের জাল নোটের প্রধান কারবারি বলে জানা গেছে।
আর বাকি ৭ জন বিভিন্ন সময় ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত বাম দল মাওবাদীদের অস্ত্র সরবারহের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল। ফলে ধারণা করা হচ্ছে সুব্রত বাইনের সাথে মাওবাদীদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত মাওবাদী দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (শৈলেন) এর প্রধান শৈলেন বিশ্বাস গত ২ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় যার্বের ক্রসফায়ারে নিহত হয়।
তার ঠিক পরেই ৮ নভেম্বর সুব্রত মাওবাদীদের সাহায্যকারীদের সাথে জেল ভাঙলো কেন এই প্রশ্ন এখন চিন্তার কারণ হয়েছে পুলিশের কাছে।
এসটিএফের একটি সুত্র জানিয়েছে, নেপালের জেল ভাঙার পর পশ্চিমবঙ্গে না এসে উত্তরপ্রদেশ হয়ে বিহারের পূর্নিয়া আসে সুব্রত। সেখান থেকে কলকাতায় তার এক সহযোগিকে মোবাইলে ফোন করার পর মুশির্দাবাদের ফারাক্কা হয়ে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এরপরই তার মোবাইল ট্র্যাক করে গোয়েন্দারা অনুসরণ শুরু করে।
গোয়েন্দাদের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে ফারাক্কা থেকে কুষ্টিয়ায় না গিয়ে, বীরভূম জেলার লোহাপুরে এক পীরের মাজার সংলগ্ন এলাকায় মাওবাদীদের এক গোপন আস্তানায় আশ্রয় নেয়। সেখানেও পৌঁছে যায় গোয়েন্দারা।
গত ১৯ নভেম্বর রাতে হাড়োয়ার কাছে আটক ছাত্র শিবিরের একনেতাকে জেরা করে তার অবস্থান সর্ম্পকে আরও নিশ্চিত হন গোয়েন্দারা। এসটিএফ অভিযান চালানোর আগেই পালিয়ে যায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসী।
এরপর তার পুরানো আস্তানা হাড়োয়া দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে সে কলকাতা চলে আসে। তারপরই তাকে গ্রেফতার করে এসটিএফ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১২
আরডি/সম্পাদনা: সোহেলুর রহমান, নিউজরুম এডিটর