আগরতলা (ত্রিপুরা): রাজ্যে চালু হচ্ছে চিকিৎসা প্রটোকল। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক সব সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছে রাজ্য সরকার।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চিকিৎসকরা কি ধরনের ওষুধ রোগীদের জন্য লিখবেন সে ব্যাপারে দিক নির্দেশনা থাকবে প্রটোকলে। পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু বিষয় যুক্ত হবে প্রটোকলে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে চিকিৎসকরা নিজেদের ইচ্ছামত ওষুধ লিখছেন। নামী সংস্থার দামী ওষুধ লিখছেন প্রেসক্রিপশনে। এই ওষুধ কিনতে রোগীর পকেট খালি হচ্ছে। অথচ ঠিক একই মানের ওষুধ সরকারি হাসপাতালে পাওয়া গেলেও তা প্রেসক্রিপশনে লিখছেন না তারা।
চিকিৎসকদের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির সখ্যতা ও উপরি পাওনার লোভ এ ধরনের ঘটনার মূল কারণ। দেখা যাচ্ছে সরকারি হাসপাতালে বসেই চিকিৎসকরা বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য করছেন রোগীদের।
এসব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন উঠে আসছে। এবার এসব বন্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। রচিত হচ্ছে চিকিৎসা প্রটোকল। কোন রোগে চিকিৎসকরা কি ওষুধ লিখবেন তা সরকারের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হবে। আর এ সমস্ত ওষুধ রোগীদের সরবরাহ করবে সরকারি হাসপাতাল।
জানা গেছে, সরকারও ওষুধ কিনবে সরকারি ওষুধ কোম্পানি থেকে। এ ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কথা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১২
সম্পাদনা: জয়নাল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর; এনএস