আগরতলা (ত্রিপুরা): আসন সমঝোতা নিয়ে বামফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা স্বীকার করে নিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর।
তিনি পরিষ্কার করেই বললেন, “আসন ভাগাভাগি নিয়ে আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা হচ্ছিল।
তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অন্যবারের মতোই এবারও বিধানসভার ৬০টির মধ্যে সিপিএম লড়বে ৫৫টি আসনে। বাকি ৫টি আসনে লড়বে অন্য ৩ শরিক দল।
নির্বাচনকে সামনে রেখে আরএসপি’কে একটি আসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিআইএম। কিন্তু দুটি আসনের দাবি জানায় আরএসপি।
১৯৭৮ থেকে রাজ্যে আরএসপি দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসছে। তারা বরাবরই এ দুটি আসন জয় লাভ করে। আসন দুটি হলো- রাধাকিশোরপুর এবং শালগড়া। কিন্তু এবার আরএসপিকে একটি আসন দেওয়ার কথা জানিয়েছে সিপিএম। কারণ হিসেবে দলটি বলে, ১৯৭৮ সালের পর এবার নির্বাচনী এলাকার পরিবর্তন হয়েছে। ফলে, তাদের একটি আসনই নিতে হবে। এখন আর শালগড়া কেন্দ্র থাকছে না। কিন্তু, আরএসপি এ বক্তব্য মানতে রাজি নয়।
বিজন ধর জানিয়েছেন, আরএসপি দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। একটি তাদের পুরনো রাধাকিশরপুর, অন্যটি বাধারঘাট। বাকি শরিক দলের মধ্যে সিপিআইকে দেওয়া হচ্ছে শান্তির বাজার এবং বনমালীপুর। শহরের বরদোয়ালী আসন দেওয়া হচ্ছে ফরোয়ার্ড ব্লককে।
আরএসপি শালগড়ার পরিবর্তে অন্য একটি ভালো আসন দাবি করে। এ নিয়ে বেঁকে বসে সিপিএম।
এদিকে, গত বিধানসভা নির্বাচনেও বামফ্রন্টের অপর শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে নির্বাচনী আঁতাত হয়নি। এর কারণ আসন ভাগাভাগি। গত বছর ফরোয়ার্ড ব্লক আলাদাভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। যদিও কোনো আসন জিততে পারেনি। কিন্তু ৩টিতেই সিপিএম প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়ায় ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১২
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর