আগরতলা (ত্রিপুরা): জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকেও বাংলাদেশে বিদ্যুৎ দেওয়ার বিষয়ে কথা বললেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার।
দেশের দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ঠিক করতে গত দু’দিন বৈঠক বসে দিল্লিতে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের আগামী প্রকল্পের রূপরেখা কী হবে, বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার তুলে ধরেন বাংলাদেশের কথাও।
তিনি বলেন, “রাজ্যে ৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এই কেন্দ্র থেকে ত্রিপুরা ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে। কিন্তু, এ বিদ্যুৎ ত্রিপুরার দরকার হবে না। ”
তিনি বলেন, “ত্রিপুরার এ প্রকল্প গড়ার জন্য সর্বতভাবে সাহায্য করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে আসতে দিয়েছে যন্ত্রপাতি। ব্যবহার করতে দিয়েছে তাদের সড়ক এবং জলপথও। এখন বাংলাদেশে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। সে কারণে, এ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়া যেতে পারে। ”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরার যে বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা, পালাটানা প্রকল্প থেকে সেটা বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে। এতে তাদের কিছুটা সুবিধা হবে। ”
তবে কেন্দ্র যদি ত্রিপুরাকে এই অধিকার দেয়, তবেই তা সম্ভব বলে জানান মানিক সরকার।
এর আগেও বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রী এ দাবি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও দিল্লির কাছে এ দাবি তোলা হয়েছিল আগে।
জাতীয় উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার শুধু এ দাবিই তোলেন নি, বলেছেন আরও অনেক কথা।
তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, “ভারত সরকারের উচিত বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা। এ জন্য দায়িত্ব নিতে হবে ভারত সরকারকেই। সীমান্তের সবকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেন মানিক সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১২
তন্ময়/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর