আগরতলা (ত্রিপুরা): রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসের কোন্দল চরম আকার নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থকরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় অফিসে তালা দিয়েছে।
এখনো রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়নি। কোনো দল ঘোষণা করেনি তাদের প্রার্থী তালিকা। সব রাজনৈতিক দলই এখন প্রার্থী তালিকা ঠিক করার কাজ করছে। তবে এখনও তালিকায় চলছে কাটাছেঁড়া।
বিভিন্ন খবরের কাগজে এবং নিউজ চ্যানেলে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী তালিকা নিয়ে নাম প্রকাশ হচ্ছে এখনই। এ নিয়ে ঝামেলা বাধছে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে।
এসব খবরের কাগজের নাম দেখে কংগ্রেসের এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীকে আক্রমণ করছে। বন্ধ করে দিচ্ছে দলীয় অফিস।
রাজ্যের কমলাসাগর বিধানসভা এলাকায় বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস সমর্থকরা বেধড়ক পিটিয়েছে প্রার্থীপদ প্রত্যাশী অরুণ কান্তি ভৌমিককে। এ এলাকায় তিনি কংগ্রেস নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি আগেও দলের বিধায়ক ছিলেন। ঐ এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন মতি লাল সাহা। তিনি এই কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চান।
মতি সাহার দলের লোকজন আক্রমণ করে জখম করেছে অরুণ কান্তি ভৌমিককে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনে।
বগাবাসা, পানিসাগর, মনুসহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ লোকজন দলীয় অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে রোববার কয়েক’শ কংগ্রেসকর্মী বিক্ষোভ দেখান দলের মুখ্য কার্যালয়ের সামনে। বিক্ষোভে বিভিন্ন এলাকার কংগ্রেসকর্মীরা যোগ দেয়। তাদের দাবি, তাদের পছন্দের লোকদের দলের প্রার্থী করতে হবে।
রোববার এবং সোমবার দফায় দফায় চলে এ বিক্ষোভ। এক সময় তা চরম আকার ধারণ করে। এমনকি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুদীপ রায় বর্মণকে কংগ্রেস ভবন থেকে পালিয়ে বাঁচতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৩
তন্ময়/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর