কলকাতা : বিহারের এক ডিআইজি’র বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল । ওই ডিআইজি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি এক মদ ব্যবসায়ীর কাছে এ ঘুষ চেয়েছিলেন।
এই ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে এবং এ ঘটনায় জড়িত এবং টাকা নেওয়ার অভিযোগে বিহারের কাল সারণ থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সিওয়ানের মদ ব্যবসায়ী টুনা পান্ডে ১৩ জানুয়ারি ডিজিপি অভয়ানন্দের কাছে ডিআইজি আলোক কুমারের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার লিখিত একটি অভিযোগ করেন।
শুধু তাই নয়- টুনার আরও অভিযোগ, টাকা না দিলে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুন করার হুমকিও দেন আলোক কুমার।
ওই অভিযোগ পাওয়ার পর ডিজিপি একজন আইজি‘র নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গড়েন। কমিটি ১৮ জানুয়ারি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আর্থিক অপরাধ শাখায় এই ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের হয়।
মঙ্গলবার আইজি অনুপমা নিলেকর বলেন, “ডিআইজি আলোক কুমারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা যে সত্যি তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে নাতে ধরা হয়েছে দুই যুবক অজয় দুবে এবং দীপককে।
এ ছাড়াও উমেশ কুমার নামে আরও এক পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ”
ওই ব্যবসায়ীর থেকে টাকা চাওয়ার ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যে কথোপকথোন হয়েছে, রেকর্ড থেকে তার প্রমাণ মিলেছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
এ বিষয় নিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে ডিজিপি একটি রিপোর্ট দেবেন। তার পরেই ওই আইপিএস অফিসার আলোক কুমারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা ঠিক করা হবে।
আলোক কুমার জম্মু ও কাশ্মীর ক্যাডারের আইপিএস। বিহারে তিনি ডেপুটেশনে আছেন। এরআগে তিনি পটনার সিনিয়র পুলিশ সুপার হিসেবে কাজ করেছেন।
ডিজিপিকে লিখিত অভিযোগে টুনা জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁর মদ তৈরির কারখানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ। কয়েক দিন পরে তাঁকে ডেকে আলোক কুমার ভয় দেখিয়ে বলেন, মদে যে পরিমাণ স্পিরিট ও অ্যালকোহল থাকার কথা, তা নেই।
তাই তাঁর মদের কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর পর বলা হয়- ১০ কোটি টাকা দিলে সমস্যা মিটে যাবে। রিভলভার দেখিয়ে বলা হয় যদি তা না দাও তা হলে তুমি এবং তোমার পরিবারকে মেরে ফেলা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ২১০৭ ঘন্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১২
বাপ্পী/সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর