ঢাকা: প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়েই বাজিমাতকারী ভারতের আম আদমি পার্টি (এএপি) দিল্লি সরকার গঠন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শর্ত পাঠিয়েছে দুই প্রধান দলের কাছে। ১৮ দফা শর্তে যে দল সমর্থন দেবে তাদের পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এএপি।
শর্ত মানলে বিজেপি বা কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি সরকার গঠন করবে এএপি-এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
নির্বাচনের পর কোনো দলই এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ট আসন না পাওয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট সৃষ্টি হয়। নয়াদিল্লির বিধান সভা নির্বাচনে বিজেপি ৩২, এএপি ২৮ ও কংগ্রেস ৮টি আসন পেয়েছে। ৭০ আসনের মধ্যে দুটি আসন পেয়েছে অন্য দুটি দল। এককভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩৬টি আসন।
কিন্তু বিজেপি বা এএপি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই জানায়, তারা সরকার গঠন করবে। দুটি দলই একে অপরকে সরকার গঠনের আহ্বান জানায়। সরকার গঠিত না হলে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানায়।
এমন পরিস্থিতিতে সমালোচনায় পরে বিজেপি ও এএপি। এক বছর বয়সী এএপি প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের সমর্থন পেয়েছে। আর তাই তাদের দায়িত্ব গ্রহণ এড়িয়ে চলার ক্ষেত্রে সমালোচনার তীরও বেশি আসছে।
এটি ভেবেই জনগণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৮টি ইস্যুর তালিকা দিয়েছেন এএপি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল বিল পাস, রাজধানীতে ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান, বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর পর্যবেক্ষণ, পানি সমস্যাসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে ওই চিঠিতে।
এর আগে দিল্লি লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেজরিওয়াল। তাকেও ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংকে লেখা ১৮ দফা দাবি সংবলিত চিঠির কপি দেন কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়ালকে নাজিব জুং বলেছেন, এখন সরকার গঠন সম্ভব নয় মর্মে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠাবেন।
নাজিব জুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কেজরিওয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দিল্লির জনগণের কথা ভাবার আগে তিনি কংগ্রেস ও বিজেপির সাড়ার জন্য অপেক্ষা করবেন। তিনি বলেছেন, শর্তহীন সমর্থন দেওয়ার কোনো বিষয় নেই। আমরা কংগেসের কাছে সমর্থন চাচ্ছি না, তারা আমাদের শর্তে সমর্থন দিতে চাইলে দেবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর