কলকাতা: ভারতীয় কূটনীতিককে হেনস্থার প্রতিবাদ করে আমেরিকাকে যে প্রত্যুত্তর ভারত সরকার দিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানালেন বাংলাদেশে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চেয়ারম্যান শাহরিয়র কবির। শনিবার সন্ধ্যায় এক আলোচনাচক্রে তিনি এ কথা বলেন।
‘ভারতে মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলন এখন কোন দিকে রয়েছে?’ এদিন এ বিষয়ে ছিল আলোচনাচক্রটি। তাতে অংশ গ্রহণ করেন শাহরিয়র কবির, দৈনিক স্টেটসম্যানের সম্পাদক মানস ঘোষ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওপি সাহা প্রমুখ।
ইন্দো-বাংলাদেশ কালচার সেন্টার এবং ইন্ডিপেনডেন্ট জার্নালিস্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে কলকাতা প্রেসক্লাবে এই আলোচনাচক্রটি আয়োজন করা হয়।
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে কীভাবে বেড়ে উঠল, কীভাবেই বা তাঁরা সেখানে তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী করেছে, এই সব বিষয় নিয়ে শাহরিয়র কবির এদিন একটি তথ্যচিত্র দেখান।
এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে শাহরিয়র কবির শুধু বাংলাদেশি ওই কট্টরপন্থী সংগঠনের কার্যকলাপকেই দেখাননি। সেই সঙ্গে এই গোটা অরাজকতা তৈরীর পিছনে আমেরিকার মদত জোগানোর ইতিহাসও তুলে ধরেন তিনি।
শাহরিয়র কবির জানান, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশে এনে নরহত্যা চালায় জামাত নেতা কাদের মোল্লা। যদিও শেষ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোয় দেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
কাদের মোল্লার ফাঁসিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে। এর পিছনে রয়েছে আমেরিকা। আর আমেরিকাকে এই কাজে সহায়তা করে যাচ্ছে পাকিস্তান। ধর্মের নামে বাংলাদেশে মৌলবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
নিজেদের ক্ষমতাকে জাহির করতে তাঁরা নিরন্তর নিরীহ মানুষকে হত্যা করে চলছে। কাদের মোল্লার ফাঁসিকে তাঁরা বিচারবিভাগীয় ষড়যন্ত্র বলে আখ্যা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৩,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর, কো-অর্ডিনেশন