দিল্লি: সবার চোখ এখন দিল্লির দিকে। কেননা দিল্লির সিংহাসনে বসার সব জল্পনার অবসান ঘটতে যাচ্ছে সোমবারই।
সারা ভারত জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ানো সদ্য গঠিত এই দলটি দিল্লিতে সরকার গঠন করবে কিনা সেই সিদ্ধান্তে আসার জন্য আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছিলেন।
সরকার গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছিলেন দিল্লির সাধারণ মানুষের উপর। এসএমএস, চিঠি, এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ২৭২টি পাবলিক মিটিংয়ের মাধ্যমে মতামত জানিয়েছেন রাজধানীর বাসিন্দারা।
আর অধিকাংশেরই মতামত গিয়েছে সরকার গঠনের পক্ষে। সোমবার দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে গিয়ে আপ সরকার গঠনের আর্জি জানাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসএমএস ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছ`লক্ষের বেশি মানুষ সাড়া দিয়েছেন। এদিন কেজরিওয়াল সম্ভবত প্রকাশ্যে সরকার গঠনের কথা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন।
ভোটের আগে যে কথাটা কেউ একবারও ভাবেননি। সেটাই হতে চলেছে। দিল্লির মসনদে বসতে চলেছেন এমন একজন যিনি এর আগে কোনওদিন রাজনীতি করেননি। ভোটের আগে যাকে সেভাবে ধর্তব্যেও আনেননি রাজনীতিবিদরা।
আম আদমির দিল্লির মসনদে বসা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এনিয়ে আগের দিন স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন এএপি নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বললেন, এবারে তাঁরা কাজ করে দেখাবেন।
তবে কি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তিনিই হচ্ছেন? সেই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন,সিদ্ধান্ত নেবেন আপের বিধায়করা। সোমবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর লেফটেন্যান্ট গভর্ণরের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা সরকার গড়ার দাবি জানাবেন।
দুদিন ধরে বিভিন্ন সভায় আম জনতা সরকার গড়ার পক্ষেই রায় দিয়েছে বলে দাবি করেছেন আপ নেতা মণীশ সিশোদিয়া। কখনও পেট্রোল পাম্পে গিয়ে, কখনও সভা করে দিল্লির আম জনতার মতামত শোনেন কেজরিওয়াল। কেজরিওয়ালের হুঁশিয়ারি, সরকার গড়লে কংগ্রেস বিজেপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৩,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন