নয়াদিল্লি: সোমবারের পর অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরিওয়াল যন্তরমন্তরে শপথ নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও, সেই অনুমতি দেননি উপ রাজ্যপাল৷ তাই শপথ গ্রহণ হবে রামলীলা ময়দানে।
কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন তা নিয়ে সর্বত্র চলছে ব্যাপক আলোচনা। অর্থাৎ আপ আদমীর সম্ভাব্য মন্ত্রিসভায় কারা স্থান পাচ্ছেন!
মনীশ সিসোদিয়া: একজন প্রাক্তন সাংবাদিক। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পর কার্যত আম আদমি পার্টির সেকেন্ড ম্যান। এটা নিশ্চিত তিনি বড় কোনও পদ পাবেন। শোনা যাচ্ছে শিল্প অথবা স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব পেতে পারেন। পাতপরগঞ্জ কেন্দ্রে মনীশ পরাজিত করেন বিজেপির নকুল ভরদ্বাজকে ১১ হাজার ৪৭৮ ভোটে।
সৌরভ ভরদ্বাজ: কম্পিউটার সায়েন্সে ইঞ্জিনিয়ার। সমাজসেবার কাজে ছেলেবেলা থেকেই যুক্ত। হতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী। ৩৪ বছরের সৌরভ হারান বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী বিজয় মালহোত্রাকে। গ্রেটার কৈলাসা কেন্দ্রে সৌরভ জেতেন ১৩ হাজারের সামান্য কিছু বেশী ভোটে।
বিনোদ কুমার বিন্নি: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট। শিক্ষামন্ত্রী এ কে ওয়ালিয়াকে হারিয়ে অঘটন ঘটিয়েছেন। কেজরিওয়ালের পছন্দের পাত্র। মন্ত্রী হওয়া কার্যত নিশ্চিত।
সোমনাথ ভারতী: দলে কাজের লোক হিসাবে দারুণ পরিচিত। প্রচুর খেটেছেনও। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র থেকে ভোটেও জিতেছেন। মন্ত্রী তো হবেনই, তবে দেখার বিষয় কোন গুরুত্বপূর্ণ দফতর পাচ্ছেন তিনি।
রাখি বিড়লা: এবারের নির্বাচনে মাত্র পাঁচজন মহিলা প্রার্থী ছিল আপ-এর। তিনি জিতেছেন শীলা দীক্ষিত সরকারের মন্ত্রী রাজ কুমার চৌহানের মত ডাকসাইটে নেতাকে হারিয়ে। রাখি ছিলেন তুখোড় সাংবাদিক। দেখা যাচ্ছে তাকেও কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায়।
জার্নেল সিং: তিলক নগরের মত কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। পড়াশোনা মাত্র এইচ এস পর্যন্ত। কিন্তু ব্যবসায় সফল হওয়ায় প্রশাসনিক কাজ জানা আছে। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে মন্ত্রীত্ব পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৩
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর, কো-অর্ডিনেশন