কলকাতাঃ কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রাঙ্গণে ‘মেগা ট্রেড ফেয়ার ২০১৩’- এর শেষ দিনে ভিড় উপচে পড়ছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে।
জামদানি শাড়ি, মেলামাইনের বাসন, পোশাক, শীত বস্ত্রের সম্ভার নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
সব থেকে বেশী চাহিদা লক্ষ্যে করা যাচ্ছে ‘প্রাণ’-র স্টলে। যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে প্রাণ’র বিস্কুট এবং ‘লিচু ড্রিঙ্ক’ সহ অন্যান্য দ্রব্যের। এছাড়াও শাড়িরও যথেষ্ট চাহিদা দেখা গেল।
বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, মিশর, জাপান, থাইল্যান্ড, ইতালি স্টলেও ভিড় দেখা গেল।
পোশাক, ঘর সাজাবার পণ্য, যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বহু ধরনের জিনিষ নিয়ে বিক্রেতারা হাজির হয়েছেন এই মেলায়। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের তৈরি বিরিয়ানির মশল্লার বিক্রি অবাক করার মত।
থাইল্যান্ডের দোকানগুলিতে দেশের গহনা, বিভিন্ন ধরনের আলো কলকাতার ক্রেতাদের আকর্ষণ করেছে।
দোকান বসেছে ৭০০টি। বিদেশির মধ্যে বাংলাদেশের দোকানের সংখ্যা সব থেকে বেশি।
মেলায় প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার লোক এসেছেন।
গত রোববার মেলায় দুই লক্ষ লোক হাজির হয়েছিলেন। তবে ২৫ ডিসেম্বর সেই সংখ্যার রেকর্ড ভেঙ্গে যাবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
ক্রেতাদের উৎসাহ দেখে মেলা কর্তৃপক্ষ মেলা দুই দিনের জন্য বৃদ্ধি করেছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ জিনিষের দাম গত এক বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে।
বাংলাদেশের ঢাকাই শাড়ি ন্যুনতম পাঁচ হাজার রুপির ধারে কাছে বিকাচ্ছে। দাম বাড়ার ফলে কিছুটা কেনা কাটায় ঘাটতি পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৩
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর