আগরতলা (ত্রিপুরা) : হাজারো প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের বেকার যুবকদের জন্য সরকারি চাকরির দরজা খোলা রাখছে।
সরকার তার সাধ্যমত চেষ্টা করছে বেকারদের সরকারি চাকরি দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে যোগ দেবার জন্য ১ লক্ষ ২২ হাজার ছেলে-মেয়ে আবেদন করে।
তার মধ্যে আমরা এবার মাত্র ৪ হাজার ৬০৬ জনের চাকরি দিতে সক্ষম হয়েছি। কী করে আমরা সবাইকে সরকারি চাকরি দেব- প্রশ্ন মানিক সরকারের।
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এমন একটি সময়ে একথা বলেছেন যখন সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে এই অভিযোগ তুলে রাজ্যে বেকার বিক্ষোভ তীব্র হয়েছে।
গত সপ্তাহে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৪ হাজার ৬০৬ জনের নামে সরকারি অফার ছাড়া হয়।
এরপরই তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে ত্রিপুরায়। নিয়োগের ক্ষেত্রে দলবাজি এবং স্বজনপোষণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বৃহৎ অংশের বেকার যুবকরা।
তারা কমপক্ষে দুশো সিপিএম পার্টি অফিস তছনছ করে ও জ্বালিয়ে দেয়। তাদের হাতে আক্রান্ত হয় সিপিএম নেতারাও। জায়গায় জায়গায় এ ঘটনা ঘটে। বেকার যুবকরা বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে।
বেকার বিক্ষোভে সারা রাজ্য যখন জ্বলছে তখন মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুললেন। তিনি বললেন, রাজ্য সরকার সাধ্যমত চেষ্টা করছে সরকারি চাকরি দেওয়ার। কিন্তু সবাইকে সরকারি চাকরি দেয়া সম্ভব নয়।
তিনি পাল্টা অভিযোগের তির তোলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে বহু বাধা নিষেধ আরোপ করে রেখেছে। তারা প্রায় বন্ধ করতে বলছে নিয়োগ। সে জায়গায় ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার কিছু কিছু করে সরকারি চাকরি দিচ্ছে।
মানিক সরকার বলেন, আমরা ২০০২ সালে ঠিক করেছিলাম পাঁচ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেব। কিন্তু
সেবার আইনের কথা বলে তা আটকে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজ্যে বেকার বিদ্রোহ কিছুটা কমাতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৪
সম্পাদনা: খুররম জামান, ডিপ্লোম্যাটিক অ্যাফেয়ার্স এডিটর, সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন