আগরতলা (ত্রিপুরা) : এবার ধর্ষিতা এগার বছরের এক নাবালিকা। ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে স্কুল পড়ুয়া ওই মেয়েটিকে।
শনিবার রাতেই মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়েছে জঙ্গল থেকে। গত এক মাসে রাজ্যে বেশ কিছু ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরব বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনগুলি।
এবার নাবালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হল। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে রইস্যাবাড়ি এলাকায়। আক্রান্ত মেয়েটি রইস্যাবাড়ির পূর্ব রাইমা এডিসি ভিলেজের বাসিন্দা। ওই এলাকারই মায়াকুমার এসবি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল মেয়েটি।
শুক্রবার রাতে ঘরে আত্মীয়দের সঙ্গে বসে টিভি দেখছিল মেয়েটি। এ সময় সে বাইরে যায় প্রাকৃতিক কাজ সারতে। তারপর আর ঘরে ফেরেনি। বেশ কিছুক্ষণ পর তার বাবা-মা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
কিন্তু সারা রাত তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। শনিবার রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাশের এক জঙ্গল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার মৃতদেহে ছিল অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। এ ঘটনা জানিয়েছেন, মৃত নাবালিকার বাবা।
এদিকে শনিবার রাতে ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র সেখানে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এল ডারলং এবং গন্ডাছড়া মহকুমার পুলিশ কর্মকর্তা গমনজয় রিয়াং। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নাবালিকার মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় রইস্যাবাড়ি হাসপাতালে।
পুলিশ ওই নাবালিকার ভগ্নিপতি রসি মোহন ত্রিপুরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ঘটনাস্থলে গেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দলও।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪