আগরতলা (ত্রিপুরা): সারা দেশে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার ব্যাঙ্ক ধর্মঘট। ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের রেশ এসে পড়েছে ত্রিপুরাতেও।
বেতন কাঠামোর পুর্নবিন্যাসের দাবিতে দেশজুড়ে দু’দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মচারী ও ব্যাঙ্ক অফিসারদের সংগঠনগুলির সংযুক্ত ফোরাম ইউএফবিইউ (UFBU)।
ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা। এর ফলে অসুবিধায় পড়েছেন দেশের কোটি কোটি আমানতকারী।
দেশের ২৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের প্রায় ৫০ হাজার শাখার প্রায় আট লক্ষ কর্মচারী ও কর্মকর্তা এই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন।
ত্রিপুরায় ইউ এফ বি ইউ’র নেতা নিখিল দাস জানিয়েছেন, পাঁচ বছর পর পর তাদের বেতন পুনর্বিন্যাসের কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তাদের নতুন করে বেতন পুনর্বিন্যাস হবার কথা ছিল।
কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও বেতন বাড়ানো হয় নি। তাদের সংগঠনের চাপে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। এই বৃদ্ধিতে তারা খুশি নয়। তাই ৪৮ ঘণ্টার ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে।
ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের প্রথম দিনেই বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন গ্রাহকরা। সরকারি ব্যাঙ্কগুলোর শাখাতেও যেমন কাজ হচ্ছে না তেমনি বন্ধ করে রাখা হয়েছে এ টি এম পরিসেবাও। এতেই ভোগান্তি চরমে উঠেছে। কারণ অনেকে হাসপাতাল বা এ ধরণের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজেও টাকা তুলতে পারছেন না ব্যাঙ্ক থেকে।
তবে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলো দুদিনের ধর্মঘটে গেলেও কয়েকটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক খোলা রয়েছে। কিন্তু ত্রিপুরা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারী ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪