আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক হিসেবে পুননির্বাচিত হয়েছেন অমল চক্রবর্তী। রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পঙ্কজ ঘোষ।
মঙ্গলবার সংগঠনের ১৪তম রাজ্য সম্মেলন মেলাঘর টাউন হলে সমাপ্ত হয়। তিনদিনের রাজ্য সম্মেলন শেষে নতুন কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
এবারের যুব সম্মেলন সিপিএমের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ, কিছুদিন আগেই সরকারি চাকরি নিয়ে রাজ্যে নজিরবিহীন বেকার বিদ্রোহ হয়ে যায়। যার পুরোভাগে ছিলেন সিপিএমের এই যুব সংগঠনের বহু প্রভাবশালী যুবক।
ওই পরিস্থিতিতে যুব সম্মেলন সফল করা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। কিন্তু মোটামুটি নিস্তরঙ্গ পরিবেশেই সমাপ্ত হয়েছে যুব সম্মেলন।
সম্মেলন শেষে সংগঠনের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসন থেকে বামপন্থী প্রার্থীদের রেকর্ড ভোটে বিজয়ী করার শপথ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে সংগঠনকে আরও জনমুখী এবং শক্তিশালী করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
সম্মেলন থেকে এখনই যুবকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে প্রস্তুতি শুরু করার। এমনিতে সারা দেশে সিপিএমের অবস্থা বেশ কোণঠাসা। সে জায়গায় দল এবার লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দু’টি মাত্র আসন নিয়ে কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চাইছে না।
রোববার মেলাঘরের শহীদ কাজল ময়দানে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ডিওয়াইএফআই’র চতুর্দশ রাজ্য সম্মেলন। সারা রাজ্য থেকে ৫৫৬ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন এবারের সম্মেলনে।
সম্মেলন থেকে গঠন করা হয় ৮৫ জনের নতুন কমিটি। ২০ জনকে নিয়ে গঠিত হয়েছে রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। ৮৫ জনের মধ্যে এবার নতুন মুখ ৩৮ জন।
পুরোনো কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তাপস দত্তসহ ৪৫ জন। বয়সের কারণেই তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পুননির্বাচিত রাজ্য সম্পাদক অমল চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যারা এবার রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সংগঠনে তাদের অবদানের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সিপিএমের এই যুব সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন থেকে ইউপিএ সরকারের জনবিরোধী নীতি এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান রাজ্য সম্পাদক অমল চক্রবর্তী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিদায়ী রাজ্য সভাপতি তাপস দত্ত বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জী স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪