ঢাকা: বিহারের ছোট্ট একটি গ্রাম জয়াগাছি। বিহারের কিষাণগঞ্জ সংসদীয় আসনের অধীন এই জয়াগাছি গ্রাম।
ভোটের বাজারে এসে আকাশচুম্বী মর্যাদা পেয়েছে নাজির পরিবার। সব দলের প্রার্থী নাজির পরিবারের দুয়ারে গিয়ে ধর্ণা দিচ্ছেন ভোট চাইতে। এই পরিবারের সমর্থন পেতে সব দলই মরিয়া।
কেননা এই এক পরিবারের সমর্থন লাভ করতে পারলে ভোটের ঝুলি অনেকটাই ভারি হয়ে যাবে। কিষাণগঞ্জ আসনের এই এক পরিবারেই রয়েছে ৪৭টি ভোট। এই পরিবারে সদস্য সংখ্যা ১২০ জন। এদের মধ্যে ৩৫টি শিশু, ৩০ জন নারী ও ৫৫ জন পুরুষ।
বিহারের পূর্ণিয়া জেলার জয়াগাছি গ্রামের মুহম্মদ নাজির যৌথ পরিবারভুক্ত ও একই ছাদের নীচে বসবাস করেন। তাদের পরিবারে রয়েছে ৩৫টি শিশু । রাজ্যের রাজধানী পাটনা থেকে জয়াগাছির দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার।
কিষাণগঞ্জ সংসদীয় আসনে ভোটারের দিক এগিয়ে রয়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠী। মুসলমানরা সেখানে ৬৬ দশমিক ৭ ভাগ।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তাদের বর্তমান এমপি মাওলানা ইশরারুল হককে মনোনয়ন দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল ছেড়ে আকতারুল ইমান শাসক জনতা দলের (ইউনাইটেড) হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর বিজেপি দলের পক্ষে লড়াইয়ে নেমেছেন দিলীপ জয়শওয়াল।
বিশাল ওই পারিবারের প্রধান মুহম্মদ নাজির পেশায় কৃষিজীবী। তিনি বলেন, আমাদের পরিবারে ৪৭ জন ভোটার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সব দলের কাছে আমাদের কদরটা সবার থেকেই বেশি। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় গুরুত্বটা বেড়েই চলেছে।
নাজির বলেন, তাদের ২০ বিঘা কৃষি জমি আছে। তিনিই পুরো সংসারটি দেখেন। তার ছোট ২ ভাই স্কুলের শিক্ষক। সংসারের খরচ মেটাতে দু’জনই তাদের পুরো মাইনেটা বড় ভাই নাজিরের হাতেই তুলে দেন।
তারা ৩ জেনারেশন এক সঙ্গে বাস করছেন। তাদের প্রতি বেলা আহারের জন্য লাগে ২০ কেজি চাল ও সম পরিমান ময়দা।
নাজিরের ভাই মুহম্মদ আশফাকের স্ত্রী আনজেরা খাতুন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান। আনজেরা জানান, তাদের পরিবারের সব বাচ্চা স্কুলে যায়।
তিনি বলেন, সমাজে ভালভাবে জীবন ধারণ করে চলতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই। আনজেরা জানান, তার স্বামীর বড় ভাই নাজির হলেন পরিবারের সর্বময় কর্তা। তাকে আমরা সবাই খুব শ্রদ্ধা করি এবং তার নির্দেশমতো চলি।
ওই এলাকার পুলিশ কর্মকর্তা মহেন্দ্র প্রসাদ যাদব বলেন, গ্রামে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আমরা নাজির পরিবারের কাছ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে থাকি।
সূত্র: দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৪