আগরতলা (ত্রিপুরা) : ভারতের আসন্ন নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরার ১৩ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ৩ জন কোটিপতি।
নয়জন প্রার্থী তাদের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন সম্পর্কে কিছুই জানাননি। ২ জন প্রার্থী তাদের প্যান নম্বর সম্পর্কে কোন তথ্য জমা দেন নি।
দেশের প্রথম দফা লোকসভা নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৭ এপ্রিল। সেদিন নির্বাচন হবে ত্রিপুরার একটি এবং আসামের পাঁচটি আসনে। পশ্চিম ত্রিপুরা সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৩ জন প্রার্থী। প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেবার সময় হলফনামা দিয়ে তাদের বিভিন্ন বিষয় জানিয়েছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই জমা দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি সমীক্ষা চালায় অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমক্রেটিক রিফরমস এবং ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ নামে একটি সংস্থা।
তারা তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বুধবার রাতে। তাতে দেখা যাচ্ছে- পশ্চিম ত্রিপুরার ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। শতাংশের বিচারে তা হল পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৩ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঝুলছে।
এর মধ্যে ত্রিপুরা প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেস প্রার্থী সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ। ১৩ প্রার্থীর মধ্যে কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন।
সবার উপরে রয়েছেন আম আদমি পার্টির সলিল সাহা। তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ চার কোটি ১১ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেসের অরুণোদয় সাহা। তার সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পিজেশ দেববর্মা, তার সম্পত্তির পরিমাণ দেড় কোটি টাকা।
পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১৩ প্রার্থীর গড় সম্পত্তির পরিমাণ ৯১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা। পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের প্রার্থীদের মধ্যে মাত্র চার জন তাদের আয় এবং আয়কর রিটার্নের তথ্য জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে কংগ্রেসের অরুণোদয় সাহা।
তিনি জানিয়েছেন তার আয় ২৩ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আম আদমি পার্টির সলিল সাহা। তিনি জানিয়েছেন তার আয় ১৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রের প্রার্থীদের মধ্যে দুজন তাদের প্যান কার্ড নম্বর সম্পর্কে কোন কিছুই জানান নি।
আর ১৩ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি থেকে ডক্টরেট পর্যন্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন অষ্টম শ্রেণি, একজন দশম শ্রেণি, স্নাতক চারজন, প্রফেশন্যাল কোর্সে স্নাতক দুজন, স্নাতকোত্তর পাস ৩ জন এবং ডক্টরেট রয়েছেন একজন।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় সবার উপরে রয়েছেন কংগ্রেসের অরুণোদয় সাহা। প্রার্থীদের বেশিরভাগের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। ১৩ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজন মহিলা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৪