আগরতলা (ত্রিপুরা): সোমবার সকাল ৭টা থেকে ত্রিপুরায় ভোটের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় ভোট। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ১২ এপ্রিল।
পশ্চিম লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণের জন্য যে সমস্ত ভোটকর্মী নিযুক্ত হয়েছেন শনিবার তাঁদের মধ্যে ভোট সামগ্রী বিতরণ করার কাজ শুরু হয়৷
উমাকাম্ত স্কুলে চলে এর চূড়াম্ত পর্বের কাজ। টিনের ছাউনি করে ভোটকর্মীরা নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেন গভীর রাত পর্যন্ত৷
রবিবার সকাল থেকে ভোটকর্মীরা ভোটসামগ্রী নিয়ে যে যাঁর কেন্দ্রে পৌঁছে যান। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আশুতোষ জিন্দাল বলেছেন, ৩টি ভোট কেন্দ্রে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা থাকায় এই সব কেন্দ্রে ভোটকর্মীরা একটু দেরিতে পৌছাবে।
১,৬০৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের উদ্দেশ্যে ভোটকর্মীদের যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ গাড়িগুলো উমাকাম্ত স্কুল এলাকায় হাজির হয়। নিরপত্তা কর্মীরাও ছিলেন সেখানে।
উমাকান্ত ময়দানসহ পশ্চিম লোকসভা কেন্দ্রের ৯টি স্থানে ভোটসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ৯টির মধ্যে পশ্চিম জেলায় ৩টি, সিপাহিজলা জেলায় ৩টি, গোমতি জেলায় ১টি এবং দক্ষিণ জেলায় ২টি স্থানে ভোটসামগ্রী বিতরণ করা হয়৷
এছাড়া সদর মহকুমায় ৩টি মডেল পোলিং স্টেশনও রয়েছে৷ এগুলোতে মহিলা ভোটকর্মী ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন।
এদিকে পশ্চিম লোকসভার ১,৬০৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ২টি অতিস্পর্শকাতর কেন্দ্র, ৪৭৪টি স্পর্শকাতর এবং বাকিগুলো সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷
এগুলোর মধ্যে অতি-স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্র ২টি হচ্ছে গোমতী জেলায়৷ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৯ জন৷ স্পর্শকাতর ৪৭৪টি কেন্দ্রে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৫ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রগুলিতে থাকবেন ২ জন নিরাপত্তকর্মী৷। জানালেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক৷
এদিকে, জনজীবনে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষায় পশ্চিম জেলার জেলা শাসক অভিষেক সিং এক আদেশে জেলার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমানায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন৷ এই আদেশ সীমাম্ত এলাকার ৫০০ মিটার এলাকায় রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৪টা পর্যম্ত কার্যকর হবে৷
১০ এপ্রিল থেকে ৮ জুলাই পর্যম্ত কার্যকর থাকবে। বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ শহর ও শহরতলিতে সামরিক বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন৷
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৪