কলকাতা: সাত আমলাকে বদলি নিয়ে মমতা সরকার এবং ভারতের নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সংঘাত আরও ঘনীভূত হল।
গত সোমবার নির্বাচন কমিশন রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মালদহ, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে বদলির আদেশ দেন।
এছাড়াও উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা প্রশাসক, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সহকারী জেলা প্রশাসককে বদলির আদেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
যদিও সোমবার নির্বাচনী জনসভা থেকে এই নির্দেশ না মানার হুমকি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সময় সকাল ১১টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ কার্যকরের সময়সীমা ছিল।
সময়সীমা অতিক্রম করার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। আবার চিঠি দিয়ে নির্দেশ কার্যকর করার জন্য আরও একদিনের সময় দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোন বিষয়ে সিন্ধান্তের চূড়ান্ত প্রশাসনিক ক্ষমতার একমাত্র অধিকারী নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের নির্দেশ না মানা হলে তৈরি হতে পারে সাংবিধানিক সঙ্কট। বাতিল হতেও পারে পাঁচ জেলার নির্বাচন। জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। যদিও রাজ্য সরকার ওই বদলির আদেশ বাতিল করার আবেদন জানিয়েছিল।
পাঠিয়েছিল বিকল্পনামের একটি তালিকাও। রাজনৈতিক মহল এই ঘটনাকে জাতীয় রাজনীতিতে নির্বাচন কমিশনের একটি দৃষ্টান্ত মূলক পদক্ষেপ বলে মনে করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৪