কলকাতাঃ দুই বাংলার রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের সুরের মূর্ছনায় মুখরিত হয়ে উঠল কলকাতার আইসিসিআর’র সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়াম। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু।
ভারতের প্রসাদ সেন এবং বাংলাদেশের অধ্যাপিকা বাঁশরি দত্তকে ভূষিত করা হয় “রবীন্দ্র-শৈলজা রঞ্জন সম্মাননা -২০১৪”।
উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং পশ্চিমবঙ্গে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম, লেখিকা নবনীতা দেবসেন, রবীন্দ্র-নজরুল বিশেষজ্ঞ বিশ্বভারতীর অধ্যাপক অরুন কুমার বসু, কবি শঙ্খ ঘোষ কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধু কল্যাণী কাজীসহ বিশিষ্ট জনেরা।
“রবি কিরণে শৈলজানন্দ” নামে এস বি বিপ্লব-এর তৈরি একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের অংশ দেখান হয়।
পরিবেশিত হয় “মম মন উপবনে” শিরনামে হয় দুই বাংলার রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীদের সমন্বয়ে সঙ্গীতের অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণ করেন আশিস ভট্টাচার্য, সুরঞ্জন রায়, সুচন্দা ঘোষসহ বাংলাদেশের সুমাইয়াফারাহ খান, আইনুন নাহার, নীলোৎপলসহ আরও অনেকে।
এস বি বিপ্লব বলেন শৈলজারঞ্জনকে নিয়ে উপমহাদেশে এই ধরণের প্রচেষ্টা প্রথম। কবি শঙ্খ ঘোষ বলেন এই ধরনের কাজ খুবই জরুরী। কল্যাণী কাজী শৈলজারঞ্জনের স্মৃতিচারণ করেন। শুভেচ্ছা জানান আবিদা ইসলাম।
মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী উপস্থিত গুণিজনদের সম্মান জানিয়ে বলেন তিনি রবীন্দ্র সাগরে অবগাহন করতে চান। তিনি বলেন, গাঙ্গেয় বদ্বীপ আর রাঢ় বাংলার মানুষদের মিলিত করার চেষ্টা করছি।
চয়নিকা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৪