ঢাকা: মিডিয়ার রিপোর্টকে এতোদিন থোরাই কেয়ার করে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু এবার ভোটের মুখে এসে বিষয়টি চাপতে সাহস করনেনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দৌঁড়ে থাকা বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী।
আর যশোদাবেনও এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন। নরেন্দ্র মোদী হ্যাঁ কবুল না করায় অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা অতি সাধারণ জীবন যাপন করে আসছিলেন। কেউই আলাদা করে ভেবে দেখেনি তাঁর কথা। তবে আড়ালে থাকলেও তিনি স্বামীর ভাল চেয়েছেন সব সময়।
ভাদোদাড়ায় হঠাৎই একটা হলফনামা বদলে দিল সব কিছু। বহু টালবাহানার পর বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র দামোদর মোদী সরকারিভাবে স্বীকার করে নিলেন সাধারণ সেই স্কুল শিক্ষিকাই তাঁর স্ত্রী।
আর যায় কোথায়। ব্যাস বদলে গেল সব কিছু। হঠাৎ করেই দেশের মিডিয়ার সব স্পট লাইট ঘুরে গেল তাঁর দিকে। নির্বাচনের ভরা বাজারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু তিনিই। কিন্তু কোথায় তিনি? যশোদাবেন মোদী? কোথায় তাঁকে আর খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না!
বুধবার ভাদোদাড়াতে মোদীর নমিনেশন জমা দেওয়ার পর থেকেই যশোদাবেনের খোঁজে হত্যে দিয়ে পড়ে আছে তামাম ভারতের মিডিয়া কুল। কিন্তু বেমালুম অদৃশ্য হয়ে গেছেন মোদী পত্নী।
তাঁর উপর যে মিডিয়ার অতি উৎসাহ ঝাঁপিয়ে পড়বে, এই সম্ভাবনা আঁচ করেই গা ঢাকা দিয়েছেন যশোদাবেন। কেউ কেউ আবার বলছে ৪০ জন মহিলার সঙ্গে এখন তিনি চারধাম দর্শনে বেড়িয়েছেন।
অবসরের আগে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর স্ত্রী তাঁর এক সহকর্মীর কাছে আক্ষেপ করে জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর স্বামীর কাছ থেকে কিছুই আর আশা করেন না, শুধু মাত্র চান মোদী যেন তাঁকে অন্তত স্ত্রী হিসাবে স্বীকার করে নেন।
যশোদাবেনের ঘনিষ্ট আত্মীয়রা জানিয়েছেন মোদী যাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সেই প্রার্থনায় গত কয়েক মাস ধরে ভাত খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। দিনে মাত্র একবার খাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৪