ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদীর বিপক্ষে অরবিন্দের মনোনয়নপত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৪
মোদীর বিপক্ষে অরবিন্দের মনোনয়নপত্র অরবিন্দ কেজরিয়াল

ঢাকা: ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিয়াল।

বুধবার সকালে তিনি দলীয় লোকজন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।



খবর এনডিটিভি’র।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় অরবিন্দ কেজরিয়ালের ঘনিষ্ঠ মণীশ সিসোদিয়া গণমাধ্যমে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমরা তাদের (বিজেপি) মতো পেশিশক্তি ও প্রচারণায় বিশ্বাস করি না। অরবিন্দের শক্তি হচ্ছে মানুষ। অরবিন্দকে নিয়ে আমরা বারানসির এক লাখ পরিবারের কাছে যেতে পারবো।

মোদীর যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে সেটা করে দেখান, তাহলেই প্রমাণিত হবে মোদীর ক্ষমতা কতোটা- বলেন মণীশ।      

মোদী এ আসনে তার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বৃহস্পতিবার‍। একই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক বিধায়ক অজিত রাই, যিনি এক সময় বিজেপি নেতাই ছিলেন।

এ আসনে জেলে থাকা সাবেক বিএসপি নেতা মুথতার আনসারির বেশ প্রভাব আছে। এখন আনসারি ‘কওমি একতা দল’ নামে একটি পার্টির প্রধান। বিজেপি নেতা মুরলি মনোহর যোশী এ আসন থেকে ২০০৯ সালের নির্বাচনে মুখতার আনসারিকে মাত্র ১৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। বারানসিতে আনসারি ও তার দলের শক্ত অবস্থান রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ আসনে কেজরিয়ালকে সমর্থন দিয়ে ফেলতে পারে কওমি একতা দল।

যদি সেরকম কিছু হয়, তাহলে মোদীকে বেশ ভাবতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ, এ আসনে দেড় লাখের বেশি মুসলিম ভোট। এতে একচ্ছত্র আধিপত্য আনসারির। ‘ধর্ম নিরপেক্ষ ভোট’ ভাগ হয়ে যেতে পারে- এ চিন্তা থেকেই নাকি আনসারি আম আদমি পার্টির প্রধানকে সমর্থন দেওয়ার কথা ভাবছেন।

ফলে সব কিছু মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, এ কেন্দ্রে ১৬তম লোকসভা ভোট বেশ জমজমাট হবে। এ আসনে ভোট হবে আগামী ১২ মে।

মোদী অবশ্য এ আসন ছাড়াও নিজের এলাকা গুজরাটের একটি আসনে লড়ছেন।

অরবিন্দ থাকেন উত্তর প্রদেশের গজিয়াবাদে। সেখানেই আম আদমি পার্টির সদর দফতর। এবারই প্রথম লোকসভা ভোটে লড়ছেন ‘দিল্লি জয়’ করা এই রাজনৈতিক তারকা। ২০১২ সালের নভেম্বরে আম আদমি পার্টি প্রতিষ্ঠা করে মাত্র এক বছরের মাথায় দিল্লির মসনদ দখল করে নিয়েছিলেন কেজরিয়াল।

যদিও দুর্নীতি বিরোধী জনলোকপাল বিল পাস করাতে না পেরে ৪৯ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও গান্ধীবাদী আন্না হাজারের শিষ্য অরবিন্দ কেজরিয়াল।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।