আমেথি থেকে: এবার ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়াত কংগ্রেস নেতা রাজিব গান্ধীর সমালোচনা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। উত্তর প্রদেশের আমেথির গৌরিগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন সোমবারের জনসভায় তিনি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি রাজিব গান্ধীর সমালোচনা করতেও ছাড়লেন না।
তাকে কংগ্রেসের দেওয়া ‘ক্রোধের রাজনীতিবিদ’ আখ্যাকে উপেক্ষা করে তিনি বলেন, আমি ক্রোধের রাজনীতি করি না। করেন আপনারা।
কংগ্রেসের অনেক নেতা বলেন, রাহুল ভাই তার বাবা রাজিব গান্ধীর পথে চলেছেন।
অতীত ঘেঁটে তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী তখন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রাজিব গান্ধী। তার বয়স তখন রাহুল গান্ধীর চেয়েও কম। তিনি গেলেন অন্ধ্রপ্রদেশ। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তাকে অভিবাদন জানাতে যাননি। আর এ কারণে বয়সে রাজিব গান্ধীর চেয়ে বড় হয়েও কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের কাছে অপমানিত হয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের সেই মুখ্যমন্ত্রী। এখন আপনারাই বলুন কারা ক্রোধের রাজনীতি করেন।
কিন্তু প্রয়াত বাবার এমন অপমান মেনে নিতে পারছেন না রাজিব কন্যা প্রিয়াঙ্কা। ভাইয়ের হয়ে আমেথিতে প্রচারণা চালাতে গিয়ে তিনি বলেন, আমার প্রয়াত বাবাকে এমন অপমান আমেথি মেনে নেবেনা। আমেথির জনগণ প্রত্যেকটি ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দেবে।
রাজিব গান্ধীও আমেথি থেকে নির্বাচিত হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। ২০০৪ সালে রাহুল গান্ধীও কংগ্রেসের হয়ে একই আসন থেকে নির্বাচিত হন। তবে মা সোনিয়া গান্ধীর মত না থাকায় তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পায়নি ভারত।
সমাবেশে সোনিয়া গান্ধীর সমালোচনা করে মোদী আরো বলেন, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, রাজনীতিতে আসা ঠিক হবে না। পরে পরিবারকে বাঁচাতে পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতিতে ঢোকার চেষ্টা করেন।
জনতার উদ্দেশ্যে মোদী প্রশ্ন রাখেন, আপনারই বলুন কে প্রধানমন্ত্রীর পাগড়ি তুলে নিয়েছেন!
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৪