কলকাতা: বিজেপি কখনোই তিস্তার পানি বণ্টনের বিরোধী নয়। মনমোহন সিং (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) এর দল কংগ্রেস সরকার বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের বন্ধু কিন্তু কংগ্রেস সরকার আজ পর্যন্ত জানাতে পারেননি ঠিক কত পরিমাণ পানি বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
বাংলানিউজের করা প্রশ্নের উত্তরে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা।
বাংলাদেশিদের ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি এর বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যে গরম হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনীতি। কিন্তু তিস্তা পানি বণ্টন এবং ছিট মহল নিয়ে এই দুই দল কখনই তাদের মুখ খোলেনি।
রাহুল সিনহা আরও বলেন, জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী যেসব সংখ্যালঘুরা কোনোভাবে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে তাদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। কিন্তু যারা আইন ভঙ্গ করে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি ক্ষমতায় গেলে ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, আইন মেনে বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক ভারতে অবস্থান, চাকরি ব্যবসা করলে তাকে অভ্যর্থনা করবে বিজেপির সরকার। কিন্তু বেআইনিভাবে অবৈধ অভিবাসীদের দেশে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার ভেতরে পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলে লোকসভার তৎকালীন স্পিকার সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে কাগজ ছুঁড়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ যখন নরেন্দ্র মোদী একই কথা বলেছেন তখন তিনি বিরোধিতা করেছেন।
রাহুল সিনহা বলেন, বিজেপি মনে করে প্রতিটি ভারতীয় মুসলমান ভারতের নাগরিক। যেকোনো ভারতের নাগরিকের যে অধিকার আছে তাদেরও সেই সমস্ত অধিকার আছে।
মোদীকে গ্রেফতার করা উচিৎ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রাহুল সিনহা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়তো ভুলে গেছেন তিনি অন্য একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করছেন। পশ্চিমবঙ্গের অতিথিসুলভ চরিত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য মোটেই খাপ খায় না।
সিনহা বলেন, গ্রেফতার করতে হলে আগে সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ৫ মে , ২০১৪