কলকাতা: ভোটের মুখে এসে ফোনে আড়িপাতা কাণ্ডে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠনে বিরত থাকারই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ইউপিএ সরকার। শরিক দলের দুই নেতা আপত্তি তোলায় এ বিষয়ে এ মুহূর্তে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না শাসক দল কংগ্রেসের।
এবার ষষ্টদশ লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে কাজিয়া আগের যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় বেশি। এরমধ্যেই ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ এনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয় ক্ষমতাশীন কংগ্রেস।
কিন্তু পরে এ নিয়ে শরিক নেতা শরদ পাওয়ার ও ফারুক আবদুল্লাহ আপত্তি জানান। সেই আপত্তি খারিজ করা কংগ্রেসের পক্ষে অসম্ভব হয়ে ওঠে।
কংগ্রেসের ঘনিষ্ট সূত্রে খবর, এ স্পর্শকাতর বিষয়টি পরের সরকারের উপরেই ছাড়া হচ্ছে।
জানা যায়, এক মহিলার ফোনে আড়িপাতা নিয়ে মোদী ও তার ঘনিষ্ঠ নেতা অমিত শাহের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছিল গত ডিসেম্বরে।
কিন্তু কোনো প্রাক্তন বিচারপতি কমিশনের নেতৃত্ব দিতে আগ্রহ দেখাননি। মেয়াদ শেষের মুখে সরকার ফের কমিশন গড়তে সক্রিয় হয়। আর তা নিয়ে সোমবার আপত্তি করেন ইউপিএ এর দুই শরিক নেতা।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে ফোন করে এনসিপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী পাওয়ার জানান, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে কমিশন গড়াটা ভুল হবে। একই মত জানান, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।
তার পরেই মঙ্গলবার বিষয়টি স্থগিতের ইঙ্গিত দেয় কংগ্রেস।
রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মোদীর বিরুদ্ধে হই-চই ফেলে দেওয়াই কংগ্রেসের লক্ষ্য ছিল। কমিশন গঠন নিয়ে তারা কখনওই ‘সিরিয়াস’ ছিলো না।
রণকৌশল ব্যাখ্যায় কংগ্রেসের এক শীর্ষ সারির নেতা বলেন, “এই সরকার চলে যাওয়ার পরেও মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তটা থেকে যাবে। পরের সরকার যদি ওই সিদ্ধান্ত খারিজ করতে চায়, তারও অনুমোদন লাগবে মন্ত্রিসভায়। নতুন সরকার কমিশন গঠন না করলে সেই বিষয়টি খুঁচিয়ে তোলারও সুযোগ রয়ে যাচ্ছে। ”
কংগ্রেসের ওই নেতা আরো মনে করিয়ে দেন, চাইলে কেউ এ নিয়ে আদালতেও যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৪