কমলা জমি, সবুজ নক্সা পাড় শাড়ি। হাতে-গলায় সোনার অলঙ্কার নেই এতটুকু।
তিনি মৌন থাকলেও লোকে চুপ থাকবে কেন। যখন হাতে গরম কাবাব, তা মুখে না তুলে কেউ ছাড়ে। আক্রমণের তীর মোদীর দিকে। সবারই এক কথা, মোদী উড়ছেন কপ্টারে। ছুটছেন বিলাসবহুল কারে। স্ত্রীর বেলায় সিএনজি।
না, দোষটা মোদীর নয়। লোক মারফৎ গাড়ির অফার দিয়েছিলেন স্ত্রীকে। উনি নেননি। কেন নেবেন। অচেনা, অন্যলোকের সাহায্য নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি স্বামী ছিলেন, এখন তো নয়। বর্তমানের মোদী সম্পূর্ণ অজানা, অচেনা। তিনি ভালবাসেন শুধু কুর্শি। রাইফেল শ্যুটারের মত তাঁর একমাত্র টার্গেট প্রধানমন্ত্রিত্ব। দল বা সঙ্গের লোকজন কেবল লক্ষ্য পূরণের বাহন। মোদী যদি প্রধানমন্ত্রী হন তাঁর পাশের জায়গাটা কী যশোদাবেনের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে।
এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় যশোদাবেনকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করেছেন মোদী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম। হয়তো এতে তাঁর রাজনৈতিক ফ্যায়দা হবে বলেই করেছেন। খাতা-কলমে মেলেছেন বলে এই নয়, মন থেকেও মেনেছেন। হৃদয়ে পুনর্বাসন দিলে একবার অন্তত ফোন করে জিজ্ঞেস করতেন, যশোদা, ভাল আছো তো।
শিক্ষকতা করেই জীবনটা কাটিয়েছেন যশোদা। বয়স এখন ৬২। অবসর নেওয়ার পর আরও একা। ছাত্রছাত্রীদের কোলাহলে যখন দিন কাটত, ভাল লাগত। নিঃসঙ্গতা মুছে তারাই সঙ্গী। ভোট দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় মুক্তোর মত অশ্রু চোখের কোণে চিকচিক করছিল। ক্লোজ-আপ শটে সেটা লুকোনো যায়নি। শাশুড়ি হীরাবা কিন্তু গান্ধীনগরে ভোট দিয়েছেন হাসতে হাসতে। ভি চিহ্ন দেখিয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এবার শুধু মোদী, আর কেউ নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৪