গনগনে আগুন ঢালছে বৈশাখী আকাশ। সূর্য মধ্য গগনে।
দীর্ঘ ১২ বছর ভোট দেননি অমর্ত্য। হঠাৎ কী হল, সব কাজ ফেলে সুদূর লন্ডন থেকে কলকাতা হয়ে শান্তি নিকেতনে ছুটে গেলেন ভোট দিতে। এ কী বেখেয়ালে সময় নষ্ট। ভোট দেওয়ার পর তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মোদী ভাল নয়। সংখ্যালঘুরা ভীত হয় এমন কারোও প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত নয়। তাছাড়া, মোদী সাধারণ মানুষের নয়, ব্যবসায়ীদের মনের মানুষ। সেই সরকারই কাম্য, যে সরকার শিক্ষা আর স্বাস্থ্যের দিকে বেশি নজর দেয়।
তাহলে কী মোদীকে ঠেকাতেই সাতসমুদ্রে তেরো নদী পেরিয়ে ছুটে এসেছেন অমর্ত্য। তাই যদি হয়, তাঁর একটা ভোট কী মোদীকে আটকাতে পারবে। তা না পারুক মোদীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদটা তো ছড়াবে। অমর্ত্য যখন বলছেন, মোদী ঠিক নন, তখন অন্যেরাও বিষয়টা নিয়ে নিশ্চয়ই ভাববে। মোদী পরাজয় যারা আচ্ছন্ন তারা সৎ সত্যটা চিনে নেওয়ার সুযোগ পাবে।
অর্থনীতিকে মানবকল্যাণমুখী করাটাই অমর্ত্যের উদ্দেশ্য। তাঁর গবেষণার বিষয়ও তাই। মোদী চলেছেন উল্টো রাস্তায়। তিনি যে উন্নয়নের মডেল তৈরি করেছেন সেখানে শিল্পপতিদের লাভ-লোকসানের ভোট। গরীব গুর্বোরা ব্রাত্য। কে না খেয়ে মরল, কাদের শিক্ষার আলো জুটল না, তার পরোয়া নেই। উন্নয়নের ঘোড়াকে চাবুক মেরে ছোটাও। তার পায়ের ফুতে ধুলো উড়ুক। সামনে পড়া লোক ছিটকে যাক। এই দৃশ্যই তুলে ধরেছেন মোদীপন্থী। অর্থনীতিবিদ জগদীশ ভাগবতী। তিনি বলেছেন মোদী যে ঘোড়া ছোটাচ্ছেন সেটা কোথায় পৌঁছিবে আমরা জানি না। বিশ্বনন্দিত অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি সেটা চাক্ষুষ করতেই পারেন। সাধারণ মানুষের পক্ষে অতটা বোঝা সম্ভব নয়। তারা ধান্ধা জাহান্নামের দুঃস্বপ্ন তাদের চোখে। যারা মোদীর ঘোড়ার ল্যাজ ধরেছেন তারাও জানে না ঘোড়ার গন্তব্য।