নয়াদিল্লি: কী হতে যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল! কে আসছেন ভারতের সিংহাসনে! এ সব জানতে উদগ্রীব পুরো ভারতের জনগণ। তবে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো উন্মাদনা নেই।
তাদের মনোভাব এমন যে, রাজনীতি হচ্ছে রাজনীতিবিদদের কাজ। আর এখনকার তরুণ প্রজন্ম তাদের ক্যারিয়ার নিয়েই ভাবনা-চিন্তা করেন। কাজটাই তাদের কাছে মুখ্য। রাজনীতির খবর জানেন কাজ শেষে রাতে পত্রপত্রিকা বা টেলিভিশন দেখে।
এ কথারই প্রমাণ পাওয়া গেল দিল্লিতে। দেখা গেল, নির্বাচন শেষে দিল্লিবাসীর দৈনন্দিন কার্যক্রম চলছে স্বাভাবিকভাবেই। মোড়ে মোড়ে জটলা নেই। চায়ের কাপে ঝড় নেই। দৈনন্দিন প্রতিযোগিতায় দৌড়াচ্ছে সবাই। এমনকী তরুণদের মধ্যেও এ বিষয়ে বিশেষ কোনো উচ্ছ্বাস দেখা দেখা যায়নি। নির্বাচন প্রসঙ্গে তাদের কোনো তর্ক নেই, নেই বাজি ধরাও। তবে রয়েছে, সূক্ষ্ম বিশ্লেষণী ভাবনা।
এখানকার মানুষ তাদের অধিকার আদায়ে দৃঢ়। সবাই নিজের কাজে ব্যস্ত হলেও ইতোমধ্যে ঠিক করে নিয়েছেন নিজের পছন্দের নেতাকে; যার ফলাফল জানা যাবে শুক্রবার।
এ বিষয়ে মেট্রো স্টেশনে ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি চাকরিজীবী ভিরেন্দ্র বালাম বাংলানিউকে বলেন, নিজেদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে ভারতীয়রা খুবই শক্ত। ভোট হয়েছে এবং এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটারেরও উপস্থিতি ছিল। কিন্তু, মানুষের ভেতরে এ নিয় তেমন কোনো উন্মাদনা নেই। তবে রয়েছে সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনাও। এর ফলাফল পাওয়া যাবে শুক্রবার।
নেহেরু প্লেস সংলগ্ন পুরো মেট্রো ঘুরে দেখা গেছে, যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে শুক্রবার। তবে সেটা নিয়ে বাংলাদেশের মতো উত্তেজনা, কোলাহল নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজের ভাবনার কথা জানালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অ্যান্থনি গোমেজ। তিনি বলেন, এখানকার তরুণেরা নিজেদের ক্যারিয়ারের বিষয়ে বেশ সচেতন। রাজনীতিতে সময় নষ্ট করতে চায় না। তারা মনে করেন, এটা রাজনীতিবিদদের কাজ।
কল্পনা আগরওয়াল বলেন, বিভিন্ন রাজ্যের লোক দিল্লিতে বসবাস করেন। সবাই নিজের রাজ্য নিয়ে সচেতন। কেন্দ্র নিয়ে সে তুলনায় তাদের আগ্রহ কম।
তিনি বলেন, দিল্লিতে চাকরিজীবীরা সময় মতো মেট্রোরেল ধরে চাকরিতে যান; আবার ফিরে আসেন। ব্যবসায়ীরাও নিজের কাজ করেন মন দিয়ে। সবাই বাসায় ফিরে টেলিভিশন বা পত্রিকায় চোখ বোলান। তাতেই জেনে ফেলেন রাজনীতির হালচাল।
তিনি বলেন, শুধু তাই-ই নয়, দলগুলোর কার্যালয়েও হৈ হৈ অবস্থা নেই। পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মার্জিতভাবে কর্মীদের যাওয়া-আসা। কোনো মিছিল নেই। স্লোগান নেই। কারণ, এখানে এ সব একদমই নিষিদ্ধ।
কল্পনা জানালেন, কোনো দল জিতলে আনন্দ মিছিল করার জন্য মানতে হয় নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন। কোনো আবাসিক এলাকায় মিছিল করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের জন্য নির্ধারিত স্থানেই মিছিল করবেন তারা।
এ সবই উন্নত গণতন্ত্রের লক্ষণ বললেন অনেকে।
ঢাকার হয়ে এখানে কর্মরত এক সাংবাদিক জানান, নির্বাচনের দিনেও দিল্লিবাসীর মধ্যে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। উন্নত বিশ্বের মতোই যে যার কাজ ঠিকঠাক মতো করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৪
** নিজেদের জরিপে ২২৬ আসন বিজেপির!
** বিজেপি অফিস গমগম, সংবাদকর্মীতে জেগে আছে কংগ্রেস অফিস
** নয়া সরকার গঠনে রাষ্ট্রপতি প্রণবের তোড়জোড়
** মোদীর জয় গণতন্ত্রের জয়
** এবার পরীক্ষায় ভারতীয় মিডিয়া
** ভোট কেটেছেন কেজরিওয়াল
** দিল্লি থেকে সার্বক্ষণিক ফল জানাবেন জেসমিন পাপড়ি
** ভারতে ভোটের নতুন রেকর্ড, বিজেপিই এগিয়ে
** ফল ঘোষণার আগেই জয়-পরাজয়ের আভাস
** ভারতের মসনদে জোটের ঘূর্ণিপাক
** আঞ্চলিক তকমা মুছতে কৌশলী মমতা
** বারানসিতে কংগ্রেসের এক মাসের ভুল
** ভোট দিচ্ছেন না বর্তমান রাষ্ট্রপতিও
** অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াইয়ে কেজরিওয়াল
** বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করছেন মোদী
** বারানসি যুদ্ধে কৌশলী মোদী আবেগী কেজরিওয়াল
** ফের আচরণবিধি ভাঙলেন মোদী!
** আমেথি থেকেই ভারত গড়ার অঙ্গীকার মোদীর
** বাংলানিউজকে কংগ্রেস নেত্রী মালা : জামায়াতকে সমর্থন করেছেন মমতা
** গান্ধী রেওয়াজেই আমেথিতে রাহুল জোয়ার
** পশ্চিমবঙ্গে তারকাপ্রার্থী নিয়ে অস্বস্তি
** ‘আর্থিক প্যাকেজে’ মোড়ানো বিজেপির জোটবার্তা