কলকাতার কালীঘাট থেকে: তারকা খচিত এক আলো ঝলমলে সংবাদ সম্মেলন করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার কালীঘাটের বাড়িতে নবনির্বাচিত ৩৪ জন সংসদ সদস্যকে নিয়ে এর আগে এক বৈঠকে বসেন তৃণমূল নেত্রী।
এ বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের বিজয়ী সব প্রার্থী। এছাড়াও বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। সেখানে শুধুমাত্র বিজয়ীরা নয়, হাজির ছিলেন দার্জিলিং থেকে পরাজিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাইচুং ভুটিয়াও।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুপারস্টার তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার অন্যতম সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী। মা মুনমুন সেনের সঙ্গে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী রিয়া সেন এবং রাইমা সেন।
শনিবার ভারতীয় সময় বিকেল ৪টার কিছুটা আগে থেকেই একে একে সবাই আসতে শুরু করেন। ঢোকার মুখেই দেবের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা হয়ে যায় মিঠুন চক্রবর্তীর। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন দেব।
এরপর আসেন মুনমুন সেন, সন্ধ্যা রায়, শতাব্দী রায়, তাপস পাল, দীনেশ ত্রিবেদী, সুগত বসু, সুব্রত বক্সিসহ অন্য নির্বাচিতরা। তাদের আগেই এসেছিলেন মুকুল রায়সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি জানান উত্তর কলকাতা থেকে নির্বাচিত সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন ‘লিডার অফ দি পার্টি’। যাদবপুর থেকে নির্বাচিত সুগত বসু হবেন ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট লিডার অফ দি পার্টি’।
শ্রীরামপুর থেকে নির্বাচিত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হবেন চিফ হুইপ। মুকুল রায় থাকবেন রাজ্যসভা ও লোকসভায় দলের সব কিছুর দায়িত্বে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৫ মে সংসদ সদস্যরা দিল্লী যাবেন। ২৬,২৭,২৮ তারিখে তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যম বাংলায় তৃণমূলের জয়কে সঠিকভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তিনি বলেন বিভিন্ন, প্রচার, বিভিন্ন কুৎসা সত্ত্বেও এই জয় পেয়েছে তৃণমূল। তিনি এই জয়কে ‘মানুষের জয়’ বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪