ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন কেজরিয়াল

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৪
মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার জন্য ক্ষমা চাইলেন কেজরিয়াল অরবিন্দ কেজরিয়াল

ঢাকা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে দল গঠনের এক বছরের মাথায় দিল্লির মসনদ দখলের পর হুটহাট করেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেওয়া বড় ধরনের ভুল ছিল বলে মনে করছেন ভারতীয় রাজনীতির ‘চমক’ আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিয়াল।

তিনি বলেন, “আজকে, আমি রাজধানী দিল্লির প্রতিটি মানুষের কাছে তথা ভারতের প্রতিটি মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলছি, এভাবে হুটহাট করে ক্ষমতায় আসার ৪৯ দিনের মাথায় আমাদের পদত্যাগ করাটা ঠিক ছিল না।

আমরা ভুল করেছিলাম। এই ভুলের জন্য আমরা মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। ”

“যখন আমরা দিল্লির সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলাম তখন আমাদের সেই পদত্যাগের পিছনে একটি একটি নৈতিক ভিত্তি ছিল। আমরা ভেবেছিলাম, আম আদমি পার্টি তার নৈতিক অবস্থানের সঙ্গে আপস করতে পারে না। ”

কিন্তু আমাদের মাথায় ছিল না যে, দিল্লির মানুষ বা দেশবাসী সেই পদত্যাগের ঘটনাকে ভিন্নভাবে দেখবেন ও ভুল ব্যাখা করবেন। ফলে, সেই পদত্যাগের ঘটনার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যোগ করেন ভারতের দুর্নীতিবিরোধী গান্ধীবাদী আন্দোলনের নেতা আন্না হাজারের শিষ্য অরবিন্দ কেজরিয়াল।

ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে রাজধানী তথা সারাদেশে এএপি’র ভরাডুবির পর আল-জাজিরার সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন দিল্লির প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী।

গান্ধীবাদী নেতা আন্না হাজারের সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সংগঠনের মূল দায়িত্ব পালনের সময়ই মতপার্থক্যের কারণে সতীর্থ অনেককে নিয়ে দূরে সরে যান কেজরিয়াল। গঠন করেন এএপি, যার নির্বাচনি প্রতীক ঝাড়ু।

গত বছর রাজধানী দিল্লির বিধানসভা দখল করে সরকার গঠনের পর সারা ভারতের রাজনীতিতে সাড়া জাগিয়েছিলেন এএপি নেতা কেজরিয়াল। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সেই বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কথা দিয়েছিলেন, পাশ করলে দুর্নীতিবিরোধী লোকজনপাল বিল পাশ করাবেন।

কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে সেই বিল পাশ করাতে না পারায় ৪৯ দিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অরবিন্দ ও দিল্লির সরকার থেকে পদত্যাগ করে এএপি।

তারপরই ৫৩৪ আসনের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেয় এএপি। অরবিন্দ কেজরিয়াল লড়েন ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্রভাই দমোদরদাস মোদীর বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের বারানসী আসনে। সেখানে তিনি মোদীর কাছে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হন।

যে দিল্লি এএপিকে ভারতীয় রাজনীতিতে এক ধরনের প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল, লোকসভায় সেই দিল্লির সবকটি আসনেই হারতে হয়েছে এএপি নেতাদের।

শুধু দলের মুখ রক্ষা হয়েছে পাঞ্জাবের চারটি আসনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে। যদিও দলের এই ফলাফলকে ‘ভালো সূচনা’ বলছে নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।