ঢাকা: নিজের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘দিল্লি দখল’ অভিযানে বলতে গেলে এককভাবেই বিজেপিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। ভারতের জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলোকে একেবারে ‘ভূমিশয্যা’ দিয়েই সংসদে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী হয়েছে বিজেপি, সেই সুবাদে ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন মোদী।
সংসদে বিজেপির যে অবস্থান তাতে যে কোনো বিল পাশ করাতে এনডিএভূক্ত নেতাদেরও তোয়াক্কা করতে হবে না দলটিকে। বিজেপির ইতিহাসে এই প্রথম প্রভূত ক্ষমতা দিয়ে জনগণ তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
কিন্তু ক্ষমতায় বসেই কি মোদী ‘কর্তৃত্বপরায়ণ’ আর নিজের ক্ষমতার ‘দাপট’ দেখানো শুরু করলেন? না হলে এখনো ষোড়শ সংসদ বসতে দুদিন বাকি, তার আগেই একেবারে প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে, নিজে একটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সেই আইন সংশোধন করে নিজের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসাবে নিয়োগ দিলের নৃপেন মিশ্র নামে এক আমলাকে।
কেন? শুধু ক্ষমতার দাপট দেখাতে। সংসদ বসার জন্য দুদিন কি অপেক্ষা করতে পারতেন না মোদী! প্রশ্ন উঠেছে ভারতের রাজনীতিতে। কারণ, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন বিজেপিও এই ধরনের অর্ডিন্যান্স জারীর তীব্র বিরোধিতা করতো।
এখন কংগ্রেসও সরাসরিই বলেছে, এটা অনৈতিক। নৈতিকতার বিরোধী অবস্থান নিয়ে মোদী এই কাজ করেছেন।
নৃপেন মিশ্র আগে টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন (ট্রাই) এর চেয়ারম্যান ছিলেন। এরপর তিনি সেখান থেকে অবসর নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।
ট্রাই এর আইনে বলা আছে, এই সংস্থার চেয়ারম্যান পরবর্তীকালে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের অন্য কোনো পদে নিযুক্ত হতে পারবেন না। এমনকী অবসরের পর অন্তত দুই বছর কোনো বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত হতে পারবেন না।
কিন্তু মোদী সেই আইনের কোনো তোয়াক্কাই করেননি। অর্ডিন্যান্স জারী করে ট্রাই এর সেই আইনকে বদল করে নৃপেন মিশ্রকে নিয়োগ দিয়েছেন।
কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি গণমাধ্যমকে বলেন, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে মানে এই নয় যে, এত বছরের সংসদীয় ব্যবস্থা মোদী ইচ্ছামতো ভাঙবেন আর গড়বেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৪