ঢাকা: আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মধ্যে ঐতিহাসিক সাক্ষাত্ হতে চলেছে। মোদী নিজেই মার্কিন প্রেসিডেণ্টের সঙ্গে তাঁর দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন।
সূত্রের খবর- কূটনৈতিক সম্পর্ক জোর দেওয়ার লক্ষ্যেই ভারত এবং আমেরিকা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসবে।
অবশ্য বরফ গলেছিল আগেই। বৈঠকের খবরে আমেরিকার সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক মধুর হওয়ার রাস্তা আরও প্রসারিত হয়ে গেল। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।
বৈঠকের ফাঁকেই মার্কিন প্রেসিডেণ্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বৈঠক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। গুজরাট দাঙ্গার জেরে মোদীর ভিসা বাতিল করেছিল আমেরিকা। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর আমেরিকার মাটিতে পা রাখতে পারেননি মোদী। গতমাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরেই মোদীকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন বারাক ওবামা।
আমেরিকা সফরের জন্য মোদীকে আমন্ত্রণও জানান ওবামা। এরপর থেকেই মোদীর ভিসা নিয়ে আমেরিকা কী পদক্ষেপ করতে পারে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে জল্পনা শুরু হয়। ক্ষমতায় এসে মোদীও প্রথম দিন থেকেই প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন।
তিনি জোর দিয়েছেন বিদেশনীতির উপরেও। শুধু সার্কগোষ্ঠীভুক্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলির সঙ্গেই সম্পর্ক মজবুত করতে চেয়েছেন তা নয়, আমেরিকার সঙ্গেও সম্পর্ক দৃঢ় করতে সচেষ্ট হয়েছেন।
মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে কোন কোন দেশে সফর যেতে পারেন তা পিএমও’র তরফে জানানো হয়েছিল। তখন সেই তালিকায় আমেরিকার নাম ছিল না। তবে ওবামার থেকে আমেরিকায় আসার সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই মোদী আমেরিকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জাতিসংঘের বৈঠকে এবার মোদী-ওবামার বৈঠকই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। ইউপিএ-২ সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন্ চুক্তি ব্যর্থ হওয়ায় এবং আমেরিকায় ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়ের হেনস্তার ঘটনায় দু'দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছে যায়। মোদী-ওবামার সাক্ষাত্ কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত ফের মজবুত করবে বলেই আশা করছে রাজনৈতিক মহল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪