ঢাকা: অনেকটা ভারতের দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকা আমেরিকা এবার এগিয়ে এলো কাছে ৷ কারণ ভারত হচ্ছে বিশ্বের একটি সুবিশাল বাজার৷ এটা উপেক্ষা করাটা হবে অর্থনৈতিক দিক থেকে চরম বোকামী। কে চায় এটা?
তাই চমক দেখানো নায়ক নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির বিশাল বিজয়ের পর আমেরিকার তরফে তাঁর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল৷
অথচ গত নয় বছর ধরে যে মোদীকে তারা ভিসা দিতে রাজি হয়নি।
আমেরিকার জনপ্রিয় টাইম ম্যাগাজিনও মোদীর প্রশংসা করেছে৷ আমেরিকার প্রাক্তন কূটনীতিক ফ্র্যাঙ্ক ওয়াইজনার মোদীকে ‘কাজের লোক' বলে উল্লেখ করেছেন৷ ওয়াইজনার বলেছেন, "আমেরিকা দীর্ঘ দিন মোদীর ভিসা মঞ্জুর করেনি৷ বিষয়টি যন্ত্রণাদায়ক, আমি আশা করি আমেরিকা দ্রূত এই সমস্যার সমাধানে সচেষ্ট হবে৷ আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হিসাবে ভারতে দীর্ঘ দিন কাটিয়ে গিয়েছেন ওয়াইজনার৷
মোদীর আমেরিকা সফর শুধু নয়, বারবার ভারত-আমেরিকা সুসম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছে ওবামা প্রশাসন৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জেন সাকিও মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন৷
এক বিবৃতিতে সাকি জানান, "আমি মনে করি আমেরিকা ও ভারতের সম্পর্ক শুধু মজবুত নয়, দীর্ঘস্থায়ীও বটে৷ আগামী দিনেও এই সুসম্পর্ক বজায় থাকবে৷ তাই মোদীর টুইটার তালিকায় প্রেসিডেণ্ট বারাক ওবামার নাম কোথায় রয়েছে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই৷
জয়ের পর বিভিন্ন্ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷ সেই তালিকায় বারাক ওবামাও ছিলেন৷ পরে মোদীও ওই সমস্ত রাষ্ট্রপ্রধানদের ধন্যবাদ জানান৷ কিন্তু মোদীর ওই তালিকায় ওবামার নাম ছিল একেবারে নিচের দিকে৷ টুইটার তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেণ্টর নাম নিচের দিকে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে সাকি এই মন্তব্য করেন৷
আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করে মোদী তাঁর টুইট লিখেছেন, "ভারত-আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা হবে৷ যা দুই দেশের জন্য মঙ্গলজনক৷ মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন কেরিও মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷
তবে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এই তিন দেশ সম্পর্কে ভারতের বিদেশ নীতিতে মোদী খুব একটা পরিবর্তন করবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৪।