কলকাতা: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরই দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের মহাযুদ্ধ। আর বাজিলে মহারণে নামতে চলেছেন মেসি কিংবা নেইমাররা তখন বিশ্বকাপের সাজে সেজে উঠছে কলকাতাও।
কলকাতার বিভিন্ন এলাকার দেয়ালগুলো শিল্পীর রঙ তুলিতে ফুটে উঠেছে বিশ্বকাপের রঙে। এতে যেমন আছেন ব্রাজিলের সমর্থকরা, তেমনি পিছিয়ে নেই আর্জেন্টিনার ভক্তরাও।
দেয়ালে দেয়ালে অঙ্কিত মেসি, ডিয়েগো মারাডোনা আবার কোথাও নেইমার আর পেলে বিশ্বকাপের বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন।
শুধু দেয়ালেই নয় কলকাতার রাস্তায় হাঁটলেই চোখে পড়ছে ছেয়ে যাওয়া ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার পতাকা। কিছুদিন আগেও যেখানে পতাকার রঙ ছিল গেরুয়া, ত্রিরঙা কিংবা লাল সেখানে বর্তমানে স্থান করে নিয়েছে সাদা নীল আর সবুজ হলুদ রঙ।
কলকাতার বিখ্যাত বাজার একলা গড়িয়া হাট, নিউমার্কেট, হাতিবাগানে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দেদারসে বিক্রি হচ্ছে জার্সি। কলকাতার আশপাশের অঞ্চলে তৈরি হওয়া জার্সি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ রুপি দামে।
বিদেশ থেকে আনা জার্সি ৮০০-১০০০ রুপিতে বিক্রি চলছে।
দোকানিরা জানান, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০০-৩০০ জার্সি বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই দল বেঁধে হাজির হয়ে এক সঙ্গে ২৪-২৫ টি জার্সি কিনে নিচ্ছেন।
উত্তর কলকাতার এক পতাকা ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, একই বছরে ভোট আর বিশ্বকাপ থাকায় পতাকার চাহিদা বেশ ভালো। কর্মীরাও দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে বেশ কিছু জায়গায় রাস্তার ধারে নির্বাচনী ক্যাম্প অফিসের মত বাঁশ-কাপড় দিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বানানো হয়েছে। সেখানে থাকছে টেলিভিশন সেটের ব্যবস্থাও। কোথাও আবার থাকছে জায়েন্ট স্ক্রিন।
বিশ্বকাপের বাজারে কাজ বেড়েছে মৃৎশিল্পীদেরও। বিশ্বকাপের ‘রেপ্লিকা’র পাশাপাশি অনেকেই মাটির মূর্তি তৈরিতে ব্যমস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
পাড়ার আড্ডা থেকে অফিসে কাজের ফাঁকে চলছে আলোচনা কখনও তর্ক। প্রায় সবার হাতেই ঘুরছে খেলার সূচি। কে কোন খেলা দেখবেন সেই নিয়ে চলছে রীতিমত গবেষণা!
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৪