কলকাতা: বুধবার এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতায়। মনে হচ্ছিল বর্ষা বোধ হয় অবতরণ করল শহরে।
প্রায় মধ্য জুন, কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই। গরমে নাকাল শহরবাসী। আষাঢ় আসতে আর দিন দুই বাকি। কিন্তু বৃষ্টি যেন অভিমান করেছে বাঙালির উপর। আর সেই কারণে পথ চলতি মানুষের মুখে প্রধানত দুটি কথা। প্রথমটি বিশ্বকাপ আর পরেরটি বৃষ্টি!
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘গ্লোবাল ওয়ারমিং’ এর ফলে বিশ্বজুড়ে গরম বাড়ছে। আবার দূষণের জন্য ফুটো হয়ে যাচ্ছে বায়ুমণ্ডল। আর তার ফলেই দুনিয়া জুড়ে তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
তবে এর মধ্যেও বিশ্বকাপ ফুটবল আগামী এক মাসে যে এই তাপমাত্রা আরও বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দেবে সে কথা হলফ করে বলা যায়।
সকালে বাড়ির ছাদ থেকে হঠাৎই চোখে পড়লো পাড়ার মোড়ে কিছু একটা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য। বাঁশ, দড়ি, লোকজনের চিৎকার-চেঁচামিচি শুনে কিছুটা অবাক হতে হলো। শারদীয়ার প্রস্তুতি তো অনেক দূরে, এরা কারা! কৌতূহলে ভর করে এগিয়ে যেতেই অবাক হলাম।
প্রায় দুই মানুষ সমান একটা ‘ব্রাজুকা’ পাড়ার মোড়ে বসান হচ্ছে। আর তার জন্যই হাজির বাঁশ, কাঠ, ওয়েলল্ডিং মেশিন। আর এই দেখতে জমা হয়েছেন বেশ কিছু প্রাতঃভ্রমণকারীও।
অনেকে আবার বাজার যাবার পথে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। এক কথায় বলা যায়, একটা ছোটখাট জমায়েত। বেশ কিছু তরুণ-কিশোরদের উৎসাহে পাড়ার মোড়ে বসছে ‘ব্রাজুকা’।
এই তরুণদের যুক্তি- আসলে উৎসবটা ফুটবলের, তাই কোন বিশেষ একটি দেশ নয়, যেসব দেশে ফুটবল খেলা হয়, যারা ফুটবলকে ভালোবাসেন তাদের সকলের উৎসব এই বিশ্বকাপ।
বিরাট মাপের ব্রাজুকা বসান দেখতে দেখতে বেশ কিছুটা সময় কেটে গেল।
যথারীতি পরিবেশের উষ্ণতা বাড়িয়ে সূর্য জানান দিলেন তার রুটিনে কোন পরিবর্তন হয়নি।
পাশ থেকে এক তরুণ কপালের ঘাম মুছতে মুছতে জানতে চাইলেন, এখন কোন ঋতু?
উত্তর এলো এক বৃদ্ধের কাছ থেকে। তিনি সহাস্যে বললেন, “ওরে এটা বিশ্বকাপের ঋতু। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ১২ জুন, ২০১৪