ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মালদহে লিচুর বাজারে ধস

আউটপুট এডিটর, কো-অর্ডিনেশন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪
মালদহে লিচুর বাজারে ধস

ঢাকা: পশ্চিমবাংলার কয়েকটি জেলায় লিচুর বাজারে ধস নামল। প্রাণঘাতির ভয়ে পারতপক্ষে কেউ লিচু কিনতে চাচ্ছেন না।

অথচ এক সপ্তাহ আগেও ১০০ টাকা কেজি দরে যে লিচু বিক্রি হয়েছে। তা এখন এক ধাক্কায় দাম দাঁড়িয়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।

তবু ঝাঁকা আলো করে থাকা লাল টুকটুকে রসালো ফলটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা৷ মালদহ জেলায় লিচু সিনড্রোমে শিশুর মৃত্যুর জেরেই আতঙ্কিত ক্রেতারা৷ হতাশ বিক্রেতা শাজাহান শেখের দাবি, তাঁর লিচু মালদহের নয়, লালবাগের৷ দাম কমিয়ে ৬০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি করেছেন৷ তবু ক্রেতারা দাঁড়িয়ে থেকেই চলে যাচেছন৷

অন্যদিকে ক্রেতা শংকর মণ্ডলের কথায়, ‘দু'দিন আগে লিচু খেয়ে বাড়ির সকলের পেটে ব্যথা হয়েছিল৷ সস্তায় পাওয়া গেলেও বাড়িতে লিচু নিয়ে গিয়ে শুধুশুধু বকুনি খাব কেন? মুর্শিদাবাদ জেলা বাগিচা উন্নয়ন কর্মকর্তা গৌতম রায় জানান, লিচু খেয়েই যে মালদহে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে- তার কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই৷
অথচ এ ভয়ে লিচুর বাজার মার খাচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, লিচুকে কোনও কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো যায় না৷ এমন কী পাকার সময়ে লিচুতে কোনও কীটনাশকও চাষিরা ব্যবহার করেন না৷ তা সত্ত্বেও কেন এমন হল তা বিজ্ঞানীরাই গবেষণা করে বলতে পারবেন৷

তবে কৃষিবিজ্ঞানী সুমন ঘোষ জানালেন, সম্প্রতি আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে গিয়েছিলাম৷ সেখানে লিচু সিনড্রোম নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ কয়েকবছর আগে মজফ্ফরপুরেও এমন ঘটনা ঘটেছিল৷ পরে জানা গিয়েছিল সেখানে শিশুদের মৃত্যুর কারণ এনসেফেলাইটিস৷ এটা কাকতালীয় ঘটনা বলে দাবি করলেন কৃষিবিজ্ঞানী সুমন ঘোষ।
 
বহরমপুরের অন্যতম চিকিত্সক পার্থপ্রতিম গুঁই বলেন, লিচি সিনড্রোম বা লিচি ভাইরাস বলে কিছু আছে বলে তাঁর জানা নেই৷ তবে লিচু কেটে খেলে অ্যাসিড হতে পারে৷ টক লিচু বেশি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে৷ তবে সেটা মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে তাঁর জানা নেই৷

তবে লিচু গাছে কোনও কেমিক্যাল স্প্রে করলে আর সেটা না ধুয়ে খেলে বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নোংরা হাতে খেলে সংক্রমণ হতে পারে৷ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চিকিত্সক হিসাবে বলতে পারি লিচু ভাইরাস বা লিচি সিনড্রোম মৃত্যুর কারণ হতে পারেনা৷ লিচুর ঘটনাটা কাকতালীয় বলেই মনে করি৷

তিনি বলেন, তবে সব কিছুই এখন ধারণা থেকে বলা হচ্ছে৷ রোগের প্রকৃত কারণ জানার জন্য মৃত শিশুদের দেহরস ও লিচুর নমুনা বিভিন্ন্ পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে৷ যা থেকে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ- তা জানা যাবে৷ তবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রচণ্ড গরমে এক সঙ্গে প্রচুর লিচু খেলে পেটের রোগ হতে পারে৷

সূত্র: অনলাইন

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।