ঢাকা: নড়েচড়ে বসেছে মোদী সরকার। ভারতীয় নাগরিকদের সুইস ব্যাঙ্কে কতো টাকা জমানো আছে তা দ্রুত জানতে আগ্রহী ভারত৷ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি, তাদের কাছে যা তথ্য আছে দ্রুত যেন তা পাঠানো হয়৷
এরই মধ্যে কালো টাকা উদ্ধারের তোড়জোড়ে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাড়াল সাহায্যের হাত৷ দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এক নির্দেশিকায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সোমবার বলেছে, বিশেষ তদন্ত দল যেসব তথ্য চাইবে, তা যেন দিয়ে দেওয়া হয়৷
নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথমেই কালো টাকা খুঁজে বের করার জন্য বিশেষ তদন্ত দল গঠন করে৷ বিদেশে পাচার হওয়া কালো টাকার বিষয়টি নির্বাচনে প্রচারের ইস্যু করেছিল বি জে পি৷
এদিকে সোমবার সুইজারল্যান্ডের সরকারি সূত্র থেকে জানানো হয়, সেদেশের ব্যাঙ্কে যেসব ভারতীয় ব্যক্তি বা সংস্থার টাকা রয়েছে, তার তালিকা তৈরি হচ্ছে৷ ভারতকেও জানানো হচ্ছে সে তথ্য৷
কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে পাঠানো কালো টাকার হদিশ পাওয়ার যে চেষ্টা চলছে, তাতে আশার আলো দেখায় এই খবর৷ জেটলি জানান, সংবাদমাধ্যমে তিনি এই খবর দেখেছেন৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য আসেনি৷
ভারতের সুইস দূতাবাস থেকে এদিন এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কর ফাঁকি মোকাবিলায় ভারতের আগ্রহের কথা সুইজারল্যান্ড জানে, বোঝে৷ এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রীতি মেনে চলার ব্যাপারে সুইজারল্যান্ড দায়বদ্ধ৷
অপরদিকে বার্ন থেকে এসেছে আরেকটি আশা-জাগানো খবর৷ সুইজারল্যান্ড তাদের কর প্রশাসন সংক্রান্ত আইন কিছুটা সংশোধন করছে৷ তাতে ভারত কিছুটা সুবিধে পাবে৷
কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে বিদেশি কর্তৃপক্ষকে তথ্য দেওয়ার আগে ওই ব্যক্তিকে তা জানানোর যে দায় বর্তমান আইনে রয়েছে, তা তুলে দেওয়া হবে৷ এই সংশোধন কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে৷
উল্লেখ্য, সুইস ব্যাঙ্কের গোলমেলে অ্যাকাউন্টের তথ্য উদ্ধার করে আনার জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই লড়তে হচ্ছে দিল্লিকে৷ এর আগে ‘এইচএসবি সি তালিকা’য় থাকা ভারতীয়দের বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টায় সাড়া দেয়নি সুইজারল্যান্ড।
এইচ এস বি সি’র সুইজারল্যান্ডের শাখায় ভারতসহ নানা দেশের খদ্দেরদের জমানো গোলমেলে অর্থ সংক্রান্ত ওই তালিকা এক ব্যাঙ্ক কর্মীর মারফত বেরিয়ে গিয়েছিল৷ ভারত এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে সুইজারল্যান্ড জানিয়ে দেয়, সেদেশের আইন অনুযায়ী বেআইনি পথে পাওয়া তথ্যের ওপর কোনও রকম প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয়৷
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৪।