ঢাকা: ভারত ও চীন যখনি বৈঠকে বসুক না কেন তা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা কবুল করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং৷ তার কথায়- যখন ভারত-চিন বৈঠকে আসে, তখন গোটা বিশ্ব দর্শকের আসনে বসে।
ব্রাজিলে ষষ্ঠ ব্রিকস সম্মেলন শুরুর আগে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠককে এই ভাবেই বর্ণনা করলেন চীনের প্রেসিডেণ্ট শি জিংপিং৷ ব্রাজিলের শহর ফোর্টলেজায় মঙ্গলবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসে দুই দেশ৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে টানা ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট কথা বলেন চীনা প্রেসিডেণ্ট জিংপিং৷ দু'দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তাঁরা কথা বললেন বাণিজ্য, দু'দেশের সম্পর্ক ও শান্তি প্রক্রিয়াসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়েও৷
এরপর দুই দেশের প্রধান সফরের আমন্ত্রণ জানান একে অপরকে৷ সরকারি মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, চীনের প্রেসিডেণ্ট ভারতের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন৷
তবে প্রধানমন্ত্রী মোদী কবে চীনে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত করে জানাননি৷ জিংপিং মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নভেম্বরে বেজিংয়ে যাওয়ার জন্য৷ ওই সময়ে বেজিংয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলন হতে চলেছে৷
মোদী জানিয়েছেন, ওই সময় তাঁর অন্য কোনও ব্যস্ততা আছে কিনা তা জেনে চীনা প্রেসিডেণ্টকে তাঁর চীন সফরের সময় জানাবেন মোদী৷
এদিন বৈঠকে মোদী-জিংপিং আলোচনার কী বিষয় ছিল এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরকারি মুখপাত্র আকবরউদ্দিন জানান, আপাতত দু'দেশের সম্পর্ককে দৃঢ় করার দিকেই লক্ষ্য স্থির করেছেন নরেন্দ্র মোদী৷
নির্বাচনের আগে চীনের সৈন্যদের ভারতের সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করলেও আপাতত কূটনৈতিক পথেই ইস্যুগুলিকে সমাধানের চেষ্টা করছেন তিনি৷ এবং সেচেষ্টা কিছুটা সফল হয়েছে বলেও জানান ওই মুখপাত্র৷ মঙ্গলবার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইটারে জানান জিংপিংয়ের সঙ্গে তাঁর ফলপ্রসূ আলোচনার কথা৷
লেখেন, "চিনের প্রেসিডেণ্টের সঙ্গে বৈঠক সফল৷ দ্বি দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন্ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা৷"
গত মে মাসের শেষার্ধে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কোন আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি কোন নেতার সঙ্গে মোদীর এটাই প্রথম বৈঠক।
** সীমান্তে শান্তি রাখতে মোদী-শি বৈঠক
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৪।