ঢাকা: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠককালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশটির সঙ্গে পরমাণু, প্রতিরক্ষা ও শক্তিক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারের ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন। ভারত ও রাশিয়ার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের ও অটুট।
বার্ষিক সম্মেলনে মোদীর আমন্ত্রণে আগামী ডিসেম্বরে ভারত সফরে যেতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সময় পুতিনকে তামিলনাড়ুর কুদানকুলামে ভারতের শক্তি প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনেরও আমন্ত্রণ জানান মোদী।
ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদী রাশিয়ার প্রেসিডেন্টর সঙ্গে বৈঠক করেন। দুই রাষ্ট্র প্রধানের এ বৈঠকটি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা স্থায়ী ছিল। বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই মোদী ট্যুইটারে আলোচনার বিষয়বস্তু আপডেট করে দেন।
বৈঠকের ফাঁকেই বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানান ভ্লাদিমির পুতিন। মোদী ও পুতিনের বন্ধুত্ব অনেকদিনের। ২০০১ সালে গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে মস্কোর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মোদী। সেখানেই দু’জনের সম্পর্ক গভীরতা হয়।
মোদী ট্যুইটারে লেখেন ১৩ বছর আগের দেখা রাশিয়াকে নিজের দেশের মতো মনে হয়েছিল। মোদী লেখেন, ভারত স্বাধীনতা লাভের পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপিত হয়। যা আজও অটুট।
মোদী তাঁর ট্যুইটারে লেখেন, ভারত যদি হয় একটি শিশু আর তাঁকে যদি প্রশ্ন করা হয় তোমার ভাল বন্ধু কে? তাহলে সে অকপটে বলবে রাশিয়া। কেননা রাশিয়া ভারতের বিপদের দিনের বন্ধু।
সবাই তো বিপদের দিনের বন্ধুকে মনে রাখে। মোদীর আবেগপূর্ণ বক্তব্য ট্যুইটারে প্রকাশের পরেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেও বক্তব্য প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অকপটে পুতিনের নেতৃত্বে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদারের স্বীকৃতি দিলেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনেও প্রতিরক্ষা, পরমাণু শক্তি, মহাকাশ, শক্তি, বাণিজ্য, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে পারষ্পরিক সহযোগিতা দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে যাবে। রাশিয়ার সহযোগিতায় কুদানকুলামে ১৭ হাজার ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পারমানবিক প্রকল্পটি গড়ে উঠেছে।
বৈঠকে মোদী উদার ভিসা নীতি প্রসঙ্গটি তোলেন। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে যান, তাদের জন্য এই ভিসা চালুর কথা বলেন। পুতিন বিষয়টি দেখবেন বলে মোদীকে আশ্বস্ত করেছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৪