ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানটি হামলার নিশানায় ছিল কিনা তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে নয়াদিল্লিকেও। ভারতের সামনে প্রশ্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যস্থল কি আদৌ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানই ছিল?
ইউক্রেনে রাশিয়ার সীমান্তে বৃহস্পতিবার হামলার সময়ে এক ঘণ্টা পরেই নরেন্দ্র মোদীর বিমানের ওই একই রুট দিয়ে ফেরার কথা ছিল৷ এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ভারতের প্রধানমন্ত্রীই হামলাকারীদের ‘টার্গেট' ছিলেন?
ভারতের একটি ইংরেজি দৈনিক এবং জি নিউজ-এ খবর প্রকাশ হতেই নতুন মোড় নিল মালয়েশীয় বিমান হামলার রহস্য৷ অন্যদিকে হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে উড়ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার যাত্রীবাহী বিমান এআই ১১৩৷
ক্ষেপণাস্ত্র হানায় এমএইচ ১৭ বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ভেঙে ২৯৫ জন যাত্রীর মৃত্যুর কথা জানাজানি হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি মোদীর বিমান ঘুরপথে ভারতে নিয়ে আসা হয়৷ ব্রিকস সম্মেলন সেরে ব্রাজিল থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে দেশে ফিরছিলেন মোদী৷
হামলার দু'ঘণ্টা আগেই ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে রওনা দিয়েছিল বিমানটি৷ ইউক্রেনের ডোনেত্স্কের উপর দিয়েই আর এক ঘণ্টার মধ্যে ফিরতেন মোদী৷ শুধু মোদীই নন, হামলার সময় ইউক্রেনের টোরেজের আকাশপথ দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেণ্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিমানেরও যাওয়ার কথা ছিল৷
তাই হামলাকারীদের লক্ষ্য রাষ্ট্রনেতারাই ছিলেন কি না তা নিয়েও রহস্য দানা বাঁধছে৷ ইউক্রেনের আকাশপথ ব্যবহার না করার জন্য এয়ার ইন্ডিয়াকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী৷
অন্যদিকে এই ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন আমেরিকা, ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড-সহ একাধিক দেশের নেতারা৷
মার্কিন প্রশাসনের সন্দেহ, মস্কোর মদতপুষ্ট ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীরাই এই হামলা করেছে৷ যদিও হামলার পিছনে ইউক্রেনের হাত রয়েছে বলে দাবি পুতিন সরকারের৷
আপাতত ইউক্রেনের আকাশপথ ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব দেশ৷ মার্কিন প্রেসিডেণ্ট বারাক ওবামা এই হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর ঘটনা' বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি তদন্তে সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন৷
পারস্পরিক দোষারোপ করে হামলার দায় এড়াতে চাইছে ইউক্রেন-রাশিয়া৷ সম্প্রতি ইউক্রেনের ক্রিয়েমেনের দখল নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই হয়েছে সেনাবাহিনীর৷
বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আমস্টারডাম থেকে কুয়ালা লামপুরগামী বিমানটি ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে ডোনেত্স্ক অঞ্চলে ভেঙে পড়ে৷
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আগুনে দগ্ধ বিমানের সব যাত্রী ও কর্মীদের৷ ইউক্রেনের দাবি, ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় বাক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধংস হয়েছে মালয়েশীয় বিমানটি৷ প্রায় ৭২ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র৷
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৪
দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা
মোদীর বিমানও ছিল একই রুটে
আউটপুট এডিটর, কো-অর্ডিনেশন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।