ঢাকা: ফুটপাতের খাবার দেখে অনেকেই নাক সিটকান। তাদের যুক্তি রাস্তার ধারের খাবার আবার খাবার হলো নাকি।
কিন্তু সব ক্ষেত্রে রাস্তার ধারের খাবার যে এমন হবে তা কিন্তু সত্যি নয। রাস্তায় ধারে থরে থরে সুখাদ্য জিভে জলের যোগান দিলেও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকে সেদিকে নজর বাঁচিয়ে চলেন?
বেশিরভাগ লোকের ধারণা স্বাস্থ্যকর সুখাদ্যের ডেস্টিনেশন হলো দামি রেঁস্তোরা। তবে দামি রেঁস্তোরা সম্পর্কে সবার একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। আর একবার একটু ভেবে দেখার বিষয়।
অথচ যারা অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর বলে ফুটপাতের যে সস্তার খাবারকে অবহেলা করছেন তারা জানেন কি আসলে সেই খাবার গুলিই সাজানো রেঁস্তোরার দামি খাবারের থেকে আসলে অনেক বেশি সুরক্ষিত?
এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্যের পক্ষেও অনেক ভাল? অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রখ্যাত খাদ্য বিশেষজ্ঞ শার্মিন ও`ব্রায়ন। ফুটপাতের খাবারটা যদি ঢেকে রেখে বেচা-বিক্রির জন্য রাখা থাকে তা হলে তো সোনায় সোহাগা।
শার্মিনের সদ্য প্রকাশিত ‘The Penguin Food Guide to India’ অনুযায়ী ভারত সফরে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেছেন রাস্তার ধারে যাঁরা খাবার বিক্রি করেন তাঁরা সাধারণত তাজা উপাদান ব্যবহার করেন তাঁদের রান্নায়। তাদের খাবার দিনে রান্না দিনে বিক্রি।
তৎক্ষণাৎ রান্না করে গরমা-গরম খাবার পরিবেশন করেন তারা। চার বছর দীর্ঘ গবেষনার পর তিনি দেখেছেন দামি রেঁস্তোরা গুলিতে বরং বাসি খাবার পরিবেশন করার প্রবণতা থাকছে।
রান্নায় যেসব উপাদান এই রেঁস্তোরাগুলি ব্যবহার করে তা অনেক সময়ই তাজা থাকে না। ফলে আসলে ভারতের রাস্তার ধারের খাবার অনেক বেশি স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর হয়।
অথচ দামি রেঁস্তোরাগুলির খাবার ঝা চকচকে রেঁস্তোরার মতোই অনেক দামি। যা সাধারণ মানুষের ধরাছোয়ার বাইরে। আর সে তুলনায় রাস্তার ধারের খাবার অনেক সস্তা ও সুস্বাদু।
শার্মিন আরও জানিয়েছেন মশলাদার ভারতীয় খাবারের কার কী ধরণের প্রতিক্রিয়া হবে তা ব্যক্তি নির্ভর করে। এবং সেটা মেনে চলে খাবার গ্রহণ করা উচিৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৪