ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

টলিপাড়ায় বসেছে সেমাই মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৪
টলিপাড়ায় বসেছে সেমাই মেলা ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা:  শুধুমাত্র ঈদের জন্য দক্ষিণ কলকাতার টলিউড পাড়ায়  জমে উঠেছে সেমাই বাজার। ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছরই কলকাতার এই সেমাই মেলা বসে দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায়।



সেমাই, লাচ্ছার বিরাট সম্ভার নিয়ে অন্তত তিরিশটি দোকান বসেছে এই জায়গায়। লখনউ থেকে আনা হয়েছে বিশেষ লাচ্ছা। এছাড়া আছে নানা পদের সেমাই।

কলকাতার খিদিরপুর, মেটিয়াবরুজসহ নানা জায়গায় তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সহ নানা ধরনের সেমাই। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হওয়া এই সেমাইয়েরও যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

লিয়াকত, হাজি আলাউদ্দিন বিবিধ সেমাই ব্রান্ডের সঙ্গে সমানে লড়াই চালিয়ে এবার নিজের জায়গা দখল করেছে কলকাতার নিজের ব্রান্ড হলদীরাম ভুজিয়াওলার সেমাই এবং লাচ্ছা।

তবে সেমাই‘র  বাজারেও বাড়তি দাম সব থেকে বড় সমস্যা। বিক্রেতারা জানালেন গত বছরের থেকে ১০ থেকে ২০ রুপি প্রতি কেজিতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বেশ কিছুটা চাপ পড়েছে কেনা-বেচায়।

অনেকেই বেশ কিছুটা ক্ষোভ উগরে দিলেন সরকারের উপর। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ক্রেতা এবং বিক্রেতারা।

তবে ঈদ উপলক্ষে কম দামে পরিবার পিছু কিছুটা করে চিনি, ময়দা এবং তেল সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে সেটা যে যথেষ্ট নয় তা বারেবারে টের পাওয়া যাচ্ছিল সেমাইয়ের এই বাজারে এসে।

টলিপাড়ার এই সেমাই মেলা বসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে বিগত কয়েক বছর এই মেলার কলেবর অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের পরেও আরও দুই দিন এই মেলা চালু থাকবে বলে বিক্রেতারা জানালেন।

এতো ধরনের সেমাই একসঙ্গে শুধুমাত্র ঈদের এই সেমাই মেলাতেই পাওয়া যায়। আর সেই কারণেই এর চাহিদা বিপুল।

তবে শুধু ইসলাম ধর্মের মানুষরা নয়, বিক্রেতারা জানালেন হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষরাও সেমাই বাজারে আসছেন। শ্যুটিং শেষে গাড়ি থামিয়ে ব্যাগ ভর্তি সেমাই, লাচ্ছা নিয়ে নিচ্ছেন অনেক শিল্পী-কলাকুশলীরা।

দাম নিয়ে অল্প কিছু সমস্যা থাকলেও কোন মতেই উৎসবের এই বিশেষ অংশটিকে হাত ছাড়া করতে নারাজ কলকাতাবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ২৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।