কলকাতা: এখন থামেনি জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্তের ঘটনা। কলকাতায় এস এস কে এম (পিজি) হাসপাতালের শিশু বিভাগের আরও এক রোগীর রক্তে পাওয়া গেল এই মরণঘাতী রোগের জীবাণু।
বেসরকারিভাবে জানা গেছে, বীরভূম জেলার বোলপুরে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিসের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের রক্ত কলকাতায় পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
রোগের প্রকোপ না কমলেও এ নিয়ে তরজা শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে। কলকাতায় মারা যাওয়া আড়াই বছরের শিশু প্রান্তিক রায়ের মৃত্যু জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিসে হয়েছে কিনা তা নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে শিশুটির মৃত্যুর কারণ হিসেবে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিসের কথা উল্লেখ করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসককে শোকজ করলে তিনি তার ভুল স্বীকার করেন।
এই ঘটনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত মৃত্যুর খবর চাপা দিতেই সরকারের এমন পদক্ষেপ বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে গত শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস উত্তরবঙ্গে মহামারির আকার ধারণ করেছে। এর একমাত্র কারণ সরকারের ব্যর্থতা। এ নিয়ে বিজেপি প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন। এর আগে বিজেপির তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে।
অপরদিকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই রোগীকে নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তাদের দেহে জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস জীবাণু ধরা পড়লেও সরকারের তরফে আরও উন্নততর পরীক্ষা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে জলপাইগুড়ির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেছেন, অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ৩ আগস্ট , ২০১৪