কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বেড়েই চলেছে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা। বেসরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪৪ জন।
বিগত কয়েক দিনে মৃত্যু খবর কিছুটা কম আসায় মনে করা হচ্ছিল নিয়ন্ত্রণে এসেছে জাপানিজ এনসেফেলাইটিস। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৭ থেকে এক লাফে ১৪৪ ছোঁয়ায় সেই ইতিবাচক চিন্তা আর ধরে রাখতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩ বছরের আরও এক শিশুর।
এছাড়া খবর পাওয়া গেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন অঞ্চলে মৃত্যু হয়েছে আমিনা বেওয়া নামে এক নারীর।
কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু হয়েছে রতুয়া অঞ্চলের বাসিন্দা উসে পুলসুম নামে এক রোগীর। মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে মালদা জেলার চাঁচল অঞ্চল থেকেও।
আর ক্রমে আরো বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও।
একদিকে মৃত্যুর খবর অন্যদিকে বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে চিকিৎসা সংক্রান্ত অব্যবস্থার খবর। সব মিলিয়ে জনমনে বিরাজ করছে আশংকা। চিকিৎসা সেবার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ আসছে সাধারণ সচেতনতা প্রসারের ক্ষেত্রেও।
যদিও এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এতো রোগীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন জেলা থেকে প্রশাসনিক উদাসীনতার কথা বারে বারে সামনে আসছে।
সচেতনতার অভাবে তৈরি হচ্ছে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি।
এ দিকে জলপাইগুড়িতে জাপানিজ এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত কচুয়া বোয়ালমারির প্রধানপাড়ার বৃদ্ধ শচীমোহন সরকারের এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় তার রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে তার মৃতদেহ গ্রামে প্রবেশ করতে দেয়নি গ্রামবাসীরা। তখন বাধ্য হয়েই জলপাইগুড়ি শহরে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হয়।
জাপানিজ এনসেফেলাইটিস নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে মোট মৃতের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা দেওয়া হয়নি। আর এ নিয়েও অবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।
** এনসেফেলাইটিসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৭
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৪