কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নারীদের উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনায় অভিনব উদ্যোগ নিলো ওই দেশের সরকার। এবার পরিচয়পত্র দেখিয়ে কিনতে হবে যে কোনো ধরনের অ্যাসিড।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অ্যাসিড বিক্রির ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গে এখন অ্যাসিড এবং বিষ মিলিয়ে রাজ্যে ২১ রকম তরল বিক্রি হয়। কিন্তু যে দু’টি অ্যাসিড সাধারণত ছুড়ে মারতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা হলো কার্বলিক ও মিউরিয়্যাটিক।
এ দুই অ্যাসিড বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার থেকে পরিচয়পত্র না দেখিয়ে বাজার থেকে এই দুই অ্যাসিড কেউ কিনতে পারবে না। প্রশাসনকেও সজাগ থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও অসাধু বিক্রেতা যেন এই দুই অ্যাসিড বিক্রি করতে না পারে। এই দুই তরলকে এখন থেকে ‘পয়জন পজিসন অ্যান্ড সেল রুলস ২০১৪’- আইনের আওতায় আনতে হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতার বিকাশ ভবনে নারী ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজার নেতৃত্বে অ্যাসিড হামলা ঠেকাতে কি করা হবে, তা ঠিক করতে এক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এখন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে অ্যাসিড আলাদা করে তালা-চাবি দিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অ্যাসিড আক্রমণ রোধে সব দফতরের প্রয়োজনীয় ভূমিকাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। নজরদারি বাড়িয়ে অ্যাসিড হামলা রুখতে পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে।
অ্যাসিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকেও। স্বাস্থ্য দফতরকে বলা হয়েছে, অ্যাসিড আক্রান্ত রোগী এলে কোনো রকম কাগজপত্র তৈরি বা সরকারি নিয়ম-কানুন মানতে বাধ্য না করে, আগে চিকিৎসা করতে হবে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, অ্যাসিড আক্রান্ত সবাই একই গোত্রের। এক্ষেত্রে সরকার সবাইকেই বিনা পয়সায় পরিসেবা দেবে। প্রয়োজনে অ্যাসিড আক্রান্তদের ভর্তির জন্য ‘স্পেশাল বার্ন ইউনিট’ তৈরি রাখতে হবে স্বাস্থ্য দফতরকে। এছাড়া সবোর্চ্চ ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের কথাও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, ৮ আগস্ট, ২০১৪