কলকাতা: নারী ও শিশু পাচার রোধে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে আরও শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে মোবাইল ম্যাসেজিং পদ্ধতি ‘হোয়াটস অ্যাপ’। নারী ও শিশু পাচারপ্রবণ এলাকাসহ গোটা রাজ্যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে বলে রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ভারতের অন্য কয়েকটি রাজ্যে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সাফল্য পেয়েছে প্রশাসন। তাই এই পদ্ধতিটিকে পশ্চিমবঙ্গের মতো শিশু ও নারী পাচারপ্রবণ রাজ্যে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে।
কয়েকদিন আগেই কলকাতার পাতিপুকুর অঞ্চলে একটি শিশু কন্যার পাচারকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামালায় কলকাতা উচ্চ আদালত পুলিশের কাজ-কর্মের সমালোচনা করেন।
পুলিশের তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয় পাচার হয়ে যাওয়া শিশু এবং নারীদের উদ্ধার করা গেলেও পাচারকারীদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। এর কারণ হিসেবে পুলিশ, নারী পাচার বিরোধী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ের অভাবকেই দায়ী করেছেন পুলিশ কর্তারা।
আর এই সমন্বয় রক্ষা করতেই ব্যবহার করা হবে ‘হোয়াটস অ্যাপ’র মতো আধুনিক পদ্ধতিকে। যেখানে যেকোনো ঘটনা বা খবর মুহূর্তে এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
এর ফলে সবাই সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হতে পারবে। এবং যদি কোনো তথ্য কারো কাছে থাকে তারা একে অপরকে জানিয়ে দিতে পারবেন।
তবে এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ মহলের দুটি মতামত পাওয়া গেছে। নতুন পদ্ধতিকে স্বাগত জনিয়েও একদল বলেছেন প্রশাসনিক কাজে শ্লথভাব দূর না করলে এই আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ সাহায্য করতে পারবে না।
অপর অংশ অবশ্য জানিয়েছেন এই প্রয়াসের ফলে নারী-শিশু পাচার রুখতে এবং পাচারকারীদের গ্রেফতার করার পক্ষে এই পদ্ধতির ব্যবহারের ফলে অনেকটাই সুবিধে হবে।
‘হোয়াটস অ্যাপ’ ব্যবহারের সুবিধা সম্পর্কে রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এর ফলে পাচার হয়ে যাওয়ার খবর আসার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন এলাকার সংগঠন, রেল পুলিশ, বিভিন্ন থানা এবং পাচার রোধ করার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি বিভাগকে খবর ও ছবি পৌঁছে দেওয়া যাবে। ফলে পাচার রোধ করতে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪