কলকাতা: আগামী ১৯, ২০ ও ২১ আগস্ট কর্মবিরতির ডাক দিল পশ্চিমবঙ্গের পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা। পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘প্রগ্রেসিভ আলু ব্যবসায়ী সমিতি’-এর তরফ থেকে জানান হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যদি আলু ব্যবসায়ীদের দাবি নিয়ে আলোচনায় না বসেন তবে তারা আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনের পথে এগোবে।
সম্প্রতি আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার ও আলু ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভিন্ন মতের জন্ম নিয়েছে। আলু ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে জানান হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্ধারিত ১৪ রুপি প্রতি কিলো দামে আলু বিক্রি করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারা জানিয়েছে, প্রতিটি হিমঘরে একটি করে কাউন্টার খোলা হবে যেখান থেকে খুচরা বিক্রেতারা ১৬ রুপি প্রতি কিলো দামে আলু কিনতে পারবেন।
পাইকারি আলু ব্যবসায়ীদের মতে, এর ফলে বাজারে ১৭ রুপি কিলো দরে ক্রেতারা আলু কিনতে পারবেন। তারা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী রাজ্যে আলু না পাঠাতে পারার ফলে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশ কিছু জাতের আলু আছে যা পশ্চিমবঙ্গের বাজারে বিক্রি হয় না। সে প্রজাতির আলু প্রতিবেশী রাজ্যে পাঠানোর জন্য তারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা আরও জানিয়েছেন, যদি এর পরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তাদের দাবি নিয়ে আলোচনায় না বসেন তবে তারা আরও বড় আন্দোলনের পথে পা বাড়াবেন।
মনে করা হচ্ছে, এর ফলে আলু নিয়ে সঙ্কট আরও বাড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। আগামী দিনে বাজারে আলুর যোগান বন্ধ হয়ে গেলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।
তবে সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ১৪ রুপি কিলো দামে আলু বিক্রি করা হবে। কলকাতার ‘মিলন মেলা’ প্রাঙ্গণে আলু মজুত করছে সরকার। তবে সেই আলুর রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে সুরু করেছে। মূলত যেসব গাড়িকে ভিন-রাজ্যে যাবার পথে আটক করা হয়েছিল সেই আলুর বস্তাগুলিকেই ‘মিলন মেলায়’ নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকার আলুর যোগানের কথা বললেও বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে, সেই আলুর মান এবং যোগান দু’টিই কম। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের বাজারে আলু নিয়ে সঙ্কট আরও বাড়েবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪ , ২০১৪